বগুড়া করেসপন্ডেন্ট :
বিদ্যুৎ চলে যাবার পর মোমবাতি কিনে আনার কথা বলাই কাল হলো জয়নবের। স্বামীর নির্মম পিটুনি এবং শ্বাসরোধে প্রাণ হারায় বগুড়ার শেরপুরের গৃহবধূ জয়নব। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনছার আলী বাদী হয়ে বোনের স্বামী আব্দুর রউফকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নিহত জয়নব উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
রোববার দুপুরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ভাই আনছার আলী জানান, প্রায় চার বছর আগে একই গ্রামের দুদু প্রামাণিকের ছেলে আব্দুর রউফের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর আব্দুর রউফ তার বোন ঘরে থাকা অবস্থায় আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা বাকবিতণ্ডা হয়ে আসছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জয়নব স্বামীকে বাজার থেকে মোমবাতি কিনে আনতে বলেন।
কিন্তু স্বামী মোমবাতি কিনে না আনায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রউফ স্ত্রী জয়নবকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে গুরুতর আহত করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দিখে স্বামী আব্দুর রউফ রাতেই জয়নবকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তায়েব আলী তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই আনছার আলী আরো জানান, এরপর আব্দুর রউফ ও তার লোকজন কৌশলে তার বোনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রামে নিয়ে এসে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দ্রুত দাফনের চেষ্টা করেন। সংবাদ পেয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। এরপর জয়নবকে স্বামী আব্দুর রউফ হত্যা করেছে সন্দেহ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবির জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।
রোববার, ১৪ জুন ২০১৫ ০৮:২১ অপরাহ্ন
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।