চাঁদপুরের ফরিরদগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রেমিকাসসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ জুন) রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমুথরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় প্রেমিক আবদুলকে আটক করেছে।
জানা যায়, ঘরে স্ত্রী ও ১৩ বছরের সন্তান রেখে প্রবাসে অবস্থানকালীন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সৌদি প্রবাসী আবদুল। নিজের অর্জিত সব অর্থ পাঠিয়ে দেয় দেয় প্রেমিকা শিউলী ও তার মাকে।
প্রেমিকাকে বিয়ে করার আশায় এক মাস আগে দেশে ফিরে এলেও প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার ঘটনায় স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। এরই জেরে বিক্ষুব্ধ প্রেমিক আবদুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকা শিউলী, তার বোন রহিমা ও তাদের মা খাদিজা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
সাড়ে ১৩ বছর আগে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের কালু বেপারির ছেলে আবদুল ধারদেনা করে সদ্য বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অজুফা বেগমকে রেখে সৌদি আরব যায়। ৩-৪ বছর আগে আবদুল মোবাইল ফোনে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমুথরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবদুল জব্বারের মেয়ে শিউলীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। প্রেমে আসক্ত হয়ে আবদুল শিউলী ও তার মায়ের বিকাশে দেদার অর্থ পাঠায়।
থানায় আটক আবদুল জানায়, শিউলী ও তার মা খাদিজা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সে বিয়ের আশায় গত ৩-৪ বছরে বিশ লাখ টাকা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠায়। কিন্তু তারা শিউলীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে তাদেরকে কুপিয়েছে।
আবদুলের মামা সিরাজ বেপারি জানান, সাড়ে ১৩ বছর পূর্বে আবদুল সৌদি আরবে গেলেও সে বাড়িতে কোনো অর্থ পাঠায়নি। সর্বশেষ রোববার রাতে সে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশ আবদুলকে আটক ও মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করেছেন।