মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার নামে অসহায় যুবকদের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। আর এ কাজে প্রতারকচক্র কৌশলে ব্যবহার করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। অবশ্য প্রতারণায় সহযোগিতার জন্য এসব জনপ্রতিনিধিদের তারা সম্মানির নামে টাকার ভাগও দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নে। তবে শুধু এ ঘটনাই নয়, অভিনব কায়দায় একটি চক্র সিলেটজুড়ে প্রতারণা ফাঁদ তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।
জানা যায়, সম্প্রতি রবি সার্ভিস লি. (মনিকা হাইজ (৬ষ্ট তলা) নিউ এয়ারর্পোট, খিলক্ষেত, নিকুঞ্জ, ঢাকা) নামের কোম্পানি থেকে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নামে চিঠি আসে। চিঠিতে আকর্ষনীয় বেতনে কোম্পানিতে সহকারী সুপার ভাইজার ও গার্ড পদে পাঁজনকে মনোনীত করে অফিসের ঠিকানায় প্রেরণের জন্যে বলা হয়। এজন্য লোক প্রেরণকারীকে দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা সম্মানী।
চিঠির প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে মুজাহিদ ও তার চার সহপাঠীকে ঢাকায় প্রেরণ করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাতির, সচিব মনিরুজ্জামান ও উদ্যোক্তা বাদশা মিয়া। ঠিকানুযায়ী ঢাকায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হন তারা। দিনরাত অযথা ঘুরিয়ে সবার কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কৌশলে তারা ঢাকা থেকে পালিয়ে এসে এবং প্রতারণায় সহযোগীতা করায় পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে শামীম ও সিরাজ নামের দুই প্রতারক মোবাইল ফোনে (যথাক্রমে ০১৮৬৫ ৮৭২৩১৬ ও ০১৮৬৯ ৮৮০৯৪৮) মুজাহিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি চূড়ান্ত করতে আরও টাকা দাবি করে। অনুসন্ধানের জন্য নম্বর দু’টিতে যোগাযোগ করতে চাইলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা বাদশাহ মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠিটি আসে। চাকরি প্রার্থী লোকজনকে জানালে আগ্রহীরা ইন্টারভিউ দিতে যায়।’
ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাতির বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি আমি জানি না। উদ্যোক্তার কাছ থেকে শুনে আমি তাদের (চাকরিপ্রার্থীদের) প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি মাত্র।’
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ১২:৫৬ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
এমআরআর