বাইসাইকেল চালিয়ে মেয়েদের স্কুল বা কলেজে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। কিন্ত এবার বাইসাইকেল নয়, মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে যাতায়াত করছে গ্রামের কলেজ পড়ূয়া মেয়েরা ।
পাবনার কাশীনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অনেক ছাত্রী নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে যাচ্ছে। স্থানীয় অনেকে সামান্য নেতিবাচক মন্তব্য করলেও মেয়েদের এগিয়ে যাওয়াকে ইতিবাচক বলে অধিকাংশরা মনে করেন ।
যমুনা নদীর তীরবর্তী বেড়ার ৭ টি ইউনিয়নসহ সুজানগরের ক’টি ইউনিয়নের মেয়েদের জন্য বাণিজ্যকেন্দ্র কাশিনাথপুরে মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কি. মি. দূর থেকে অনেক শিক্ষার্থীকে কলেজে যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় এবং অর্থ দু’-ই বাধা হয়ে দাঁড়ায় অধিকাংশ ছাত্রীর কাছে।
এ বছরেই প্রথম থেকে ক’জন ছাত্রী মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসা যাওয়া শুরুকরে। এতে গ্রামের এবং কলেজ এলাকাসহ পথে অনেকেই হাসি- ঠাট্টা করে। মেয়েদের অদম্য ইচ্ছা ও ব্যক্তিত্বের কাছে হার মানে হাসি- ঠাট্টা কারীরা।
কলেজের শিক্ষার্থী রাফিয়া আক্তার মিম জানান, সে ১৫ কি. মি পথ অতিক্রম করে প্রতিদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসে। এখন আর কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। তার দেখাদেখি আরো অনেকেই এখন মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসা-যাওয়া করে।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বেবী নাজনীন জানায়, ‘সে প্রতিদিন ১০ কি.মি. দূর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে যাতায়াত করে। এতে করে তার অনেক সময় বেঁচে যায়।
ছাত্রীরা জানান, তাদের অনেক সহপাঠীর অভিভাবক তাদের জন্য মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। আগামী বছর থেকে দূর থেকে আসা অধিকাংশ মেয়েই মোটরসাইকেল চড়ে কলেজে যাতায়াত করবে।
কাশিনাথপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম খান বলেন, ‘প্রথমে কেউ কেউ ব্যাপারটি নিয়ে সমালোচনা করলেও এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন আর কেউ কিছু বলে না।’
এ টিকে মেয়েদের অগ্রযাত্রা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাও এখন মোটরসাইকেলে যাতায়াত করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। আগামীতে দূর-দূরান্তের অনেক শিক্ষার্থীই বাইক কিনবে বলে জানা গেছে’।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:5০ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur