তীব্র গরমের মধ্যে এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। যে ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এ সংক্রান্ত দেশী ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশ্লেষকের ধারণা ঘূর্ণিঝড়টি মের দ্বিতীয় সপ্তাহে নোয়াখালী ও চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির প্রধান বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে জানমাল রক্ষায় সতর্ক আছে সরকারের। কারণ বাংলাদেশে এ ধরণের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সব সময় থাকে।
জানা যায় বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ও শেষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়ের। এদিকে আবহাওয়া অফিসের মাসব্যাপী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে।
এর আগে ১০ মের দিকে আন্দামান অঞ্চলে তৈরি হতে পারে আরও একটি সুষ্পষ্ট লঘুচাপ। সেই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘মোখা’। এটি একটি আরবি শব্দ।
বিভিন্ন আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু গবেষকের বক্তব্য, ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৪ মে’র পর উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যদি সত্যি আঘাত হানে তাহলে ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করেন তারা।
এ বিষয়ে জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দেশের নোয়াখালী ও চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশের স্থলভাগ দিয়ে অতিক্রম করবে। ১৪ মে দুপুরের পর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এটি উপকূলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘূর্ণিঝড় ঘোষণার পরই সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এর আগে, ঘূর্ণিঝড় মৌসুম সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত আর মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টরা। যা সব সময় চলমান থাকে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি পরিচালক আহমাদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির জন্য আমাদের ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছে। এরই মধ্যে তারা মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছে। ঝড়ের সময় সবার আশ্রয়কেন্দ্রে আসার প্রয়োজন নেই। অনেকে আছেন নিজের বাড়িতেই যথেষ্ট নিরাপদ। যারা যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবে তাদের তালিকা আগে থেকেই তৈরি করা হয়।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে থেকেই পূর্বাভাস দিতে থাকলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে থাকে। তাই এ বিষয়ে সরকারি সংস্থার ওপর ভরসা রাখার পরামর্শ তাদের।
চাঁদপুর টাইমস
৩ মে ২০২৩
এজি