নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেয়েদের কপালে টিপ কোথায় থেকে কিভাবে ব্যবহার শুরু এ প্রশ্নটি অনেকের মনে, আজকে চাঁদপুর টাইমস পাঠকদের জন্য টিপের ইতিহাস এবং এর বৈধতা বিষয়ে তুলে ধরব।
হযরত ইবরাহীম (আঃ) কে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮ মাইল পরিমান জায়গা আগুন জ্বালালো তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না।
তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম (আঃ)কে ছুঁড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্ত রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল, কিছু নগ্ন মেয়ে/পতিতা এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারন এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল।
অবশেষে ইবরাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলো। পরবর্তিতে ঐ মেয়ে গুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত ।
অতএব যারা বলে— মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন ?
পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন ! ওহে, মুসলিম নারী এই সত্য কথাটা জানার পরও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন?
সুতরাং- কপালে টিপ দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ।