কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ),বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে বুধবার ভার্চুয়াল সম্মেলন এবং ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে।
এ সভায় কৃষিখাদ্য খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মের জন্য দু’দেশের সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংস্থা ও মূল অংশীদারদের একত্রিত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১১ সাল থেকে সাফটার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যগুলিতে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকারের কথা তুলে ধরেন।
তিনি দু’দেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জাতীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য খাদ্য সুরক্ষার মানদণ্ড এবং কারিগরি সুবিধার দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো.আলমগীর বলেন,‘ বাংলাদেশ সরকারের দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল, সুতারকান্দি,বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে নির্বিঘ্ন পরিচালনা,যাত্রীদের সুবিধা এবং সময়মতো পণ্য ছাড়করণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।’
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মতলুব আহমদ বলেন,‘ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহন যোগাযোগ উভয় পক্ষের জাতীয় আয়কে উল্লেখ যোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে ‘
ভার্চুয়াল কনফারেন্সে এপিইডিএর সভাপতি ড.এম.অঙ্গমুথু, বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সলিমুল হক ঈসা, বাংলাদেশের হালাল মাংস আমদানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ , ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদ, ভারতীয় হাই কমিশনের বাণিজ্য প্রতিনিধি ডা.প্রম্যেশ বাসাল, এপিইডিএর পরিচালক ড.তরুণ বাজাজ এবং ভারতীয় হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্মেলনে ভার্চুয়াল ক্রেতা-বিক্রেতা সভার জন্য একটি ই-ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। এরপর রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এ সম্মেলনে উভয় দেশের ২ শ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৮ জুলাই ২০২১
এজি