Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় মেম্বারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ‘কৃষক বিশ্রামাগার’
মেম্বারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে

কচুয়ায় মেম্বারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ‘কৃষক বিশ্রামাগার’

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে কৃষকরা শ্রম দিয়ে মাঠে ফসল ফলান তাদের স্বস্তি দিতে মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কৃষক বিশ্রামাগার। একই সঙ্গে বজ্রপাত থেকে যাতে কৃষকরা রক্ষা পান সেজন্য ধানক্ষেতের চারদিকে লাগানো হয়েছে তিন হাজার তালগাছ।

কৃষকদের জন্য অন্যরকম ভালোবাসার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়াইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া। তাকে এ কাজে সহায়তা করেছেন কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কৃষকদের জন্য নির্মাণকৃত বিশ্রামাগারে রয়েছে টয়লেট ও নলকূপ। বিশ্রামাগারে একসঙ্গে ২০ জন ক্লান্ত কৃষক আশ্রয় নিতে পারবেন। কৃষকদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ পুরো কচুয়াতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের কৃষি মাঠে যাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তাও নির্মাণ করে দিয়েছেন মেম্বার মানিক মিয়া। তার এ উদ্যোগ দেশব্যাপী অনুকরণীয়।

স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াকুব মিজি, কাউছার, মমিন ও নূর মোহাম্মদ জানান, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শিশিরের নির্দেশে কড়াইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া আমাদের জন্য যা করেছেন তা ভুলব না। রোদ-বৃষ্টি ও বজ্রপাত থেকে বাঁচাত আমরা এখন বিশ্রামাগারে আশ্রয় নিই। এতে আমাদের কষ্ট অনেক কমে গেছে।

কচুয়া উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মিয়া বলেন, কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন এবং স্বস্তির জন্য আমি এই কাজ করেছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে আগামীতে কৃষকদের জন্য আরও বেশি বেশি কাজ করব।

মেম্বার মানিক মিয়ার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ নিয়ে ব্যাপক খুশি স্থানীয় কৃষকরা। এমন উদ্যোগ সারাদেশে অনুকরণীয় হতে পারে বলে জানালেন কৃষকরা।

কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, ২০০ একর চাষযোগ্য জমির মাঝখানে স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরি করেছেন মানিক মেম্বার। সেখানে একসঙ্গে ২০ জন কৃষক বসতে পারবেন। সঙ্গে একটি টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। পানির জন্য নলকূপ বসানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের জমিতে যাওয়ার জন্য রাস্তা করা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে তিন হাজার তালগাছ লাগানো হয়েছে। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালগাছের নিচে আশ্রয় নেবেন কৃষকরা। বিশ্রামাগারে খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম শেষে মাঠে কাজ শুরু করবেন তারা।

বার্তা কক্ষ,১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০