ধরা পড়লেই কাচু-মাচু করে পুলিশের কাছে অজুহাতটা তোলে নিজেদের পড়াশোনার খরচ মেটাতেই এমন অবৈধ পথে এসেছেন তারা। কিন্তু বাস্তবের চিত্র ভিন্ন খোদ ভারতের পুলিশ বলছে স্রেফ আধুনিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া কলেজে পড়ুয়া এসব তরুনী ছাত্রীরা রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
সাম্প্রতিক কালে এমন অনেক অভিযোগ আসছিলো শেষমেশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় শহরের মোট তিনটি আবাসিক হোটেলের মধুচক্রে হানা দেয় দেশটির পুলিশ। এরপরেই বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল । খদ্দেররা বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার হলেও যৌনকর্মী হিসেবে যারা গ্রেফতার হলেন তারা প্রায় সবাই স্থানীয় মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে অধ্যায়নরত আধুনিকা, শিক্ষিতা ছাত্রী !
এসময় অবৈধ যৌন সংসর্গে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জন ছাত্রী সহ মোট ৩৪ জনকে। এদের মধ্যে রয়েছেন তিন হোটেল মালিকরাও । তাঁদের বিরুদ্ধে রেস্তোরাঁর আড়ালে অবৈধ যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
ধৃত পড়ুয়াদের মধ্যে দুই তরুণী আগরতলার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্রী। ধৃত অন্য এক যুবতী নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছেন এবং বাকিরা সকলেই আগরতলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুই তরুণীর বয়স ১৭ বছর।
গত রবিবার রাতেই ধৃতদের স্থানীয় আদালতে পেশ করা হয়। আদালত এর মধ্যে ৩২ জনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ১৭ বছর বয়সী দুই শিক্ষার্থীকে নাবালিকা জুভেনাইল হোমে রাখার নির্দেশ জারি করে আদালত ।
পুলিশি অভিযানের নেতৃত্ব দেন পুলিশ প্রধান বিজয় নাগ এবং উপপ্রধান শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী। সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা অবৈধ যৌন চক্র রুখতে কিছু দিনের মধ্যে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur