আন্তর্জাতিক ডেস্ক | আপডেট: ০৭:০৫ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫, শনিবার
বাড়ির বাইরে থেকে দেখলে তেমন কোনো বিলাসিতা চোখে পড়ে না। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়ির মালিক পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের চেহারাও অনেকটা এ রকম। বাইরে থেকে সাদাসিদে।
এই মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন এক ব্যক্তি। তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপরেই বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে সারি সারি টাকার বাণ্ডিল। টাকা রাখা ছিল বাথরুমের কমোডে, এমনকি রান্নাঘরেও।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হাওড়া জেলার ঘুসুড়ির নস্করপাড়া রোডে। হাওড়া পৌরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রণব অধিকারির বাড়িতে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ২০ কোটি টাকা এবং স্বর্ণের গহনা উদ্ধার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শনিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
এদিকে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে এক প্রোমোটার ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। শুক্রবার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে জোর করেই বাড়িতে প্রবেশ করেন তারা।
গ্রেফতারের পর ওই ইঞ্জিনিয়ারকে শুক্রবার রাতে মালিপাঁচঘড়া থানায় রাখা হয়। স্ত্রী ও ছেলের উপস্থিতিতে রাতভর চলে টাকা গোনার কাজ। আনা হয় ৩টি টাকা গোনার যন্ত্র। দুটি বড় ট্রাঙ্ক, ১০টি বস্তা, ৩টি সুটকেস, ২টি ট্রাভেল ব্যাগ।
প্রতিবেশীদের দাবি, পাড়ার লোকের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না প্রণব। তবে সাদাসিদে, ঠাণ্ডা মাথার লোক বলেই জানতেন সবাই। কিন্তু সূর্য ডুবলেই ঘুসুড়ির এই বাড়ি ঘিরে বাড়ত কৌতূহল।
এক প্রতিবেশী জানান, সন্ধে হলেই ওই বাড়িতে শুরু হতো ফিসফাস। কিন্তু প্রতিবেশীরা ভাবতেও পারেননি বাড়ির ভেতরে এত কিছু হচ্ছে। তাই শুক্রবার যখন বিষয়টি জানাজানি হয়, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন বাড়িতে ডাকাত হানা দিয়েছে।
কিন্তু ভুল ভাঙে কিছুক্ষণ পরেই। প্রণব অধিকারীর বাড়ির বক্স খাট খুলতেই মেলে রাশি রাশি টাকা! রান্নাঘরের মেঝে, বাথরুমের কমোড থেকে উদ্ধার করা এসব টাকা দেখে চমকে ওঠেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা!