Home / চাঁদপুর / মেঘনাকে ত্রিপুরার দু’নদীর সাথে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা
Meghna river
ফাইল ছবি

মেঘনাকে ত্রিপুরার দু’নদীর সাথে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক। আপডেট: ০৫:৩০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি ত্রিমুখী নদীপথ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশটির ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান দুই নদী হাওরাহ ও গোমতির সাথে সংযোগ স্থাপন করা হবে মেঘনা নদীর।

ভারতের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন সচিব সমরজিৎ ভৌমিক।

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবহন বিভাগ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরির জন্য একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে তারা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে। এরপরই আমরা বাজেট তৈরির কাজে হাত দেব।’

এর আগে রেল ইন্ডিয়া টেকনিকেল অ্যান্ড ইকোনোমিক সার্ভিস (রাইটস) সংশ্লিষ্ট জলপথগুলোতে একটি জরিপ পরিচালনা করে এবং ত্রিপুরার দুটি নদীতে ড্রেজিং করার জন্য পরামর্শ দেয়। তারা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪৭ কোটি রুপি তহবিল বরাদ্দেরও সুপারিশ করে।

এছাড়াও চট্টগ্রামের রামহরের সাথে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব-ডিভিশন সাবরুমের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ফেনী নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণে অপর একটি ডিপিআর চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ইতোমধ্যে ৯১ কোটি রুপি অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

ভারতের গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি) প্রধান প্রকৌশলী সুনিল ভৌমিক জানান, ২৫০ ফিট দীর্ঘ এ ব্রিজটির ডিপিআর ইতোমধ্যে ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস জানায়, ফেনী নদীর উপর এ ব্রিজ নির্মিত হলে ভারত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে প্রবেশ ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে। রাজ্যটির সাবরুম সাব-ডিভিশন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার।

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।