মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির সাতদিন পরও ১৮ শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি। তাদের নিখোঁজ রেখেই উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার(২১ জানুয়ারি) উদ্ধারকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান সাদী বলেন, সাতদিনেও নিখোঁজ ১৮ শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি। ফলে উদ্ধারকাজ পুরোপুরি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সকাল ৯টার দিকে মেঘনা নদীতে মাটিবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনার নিখোঁজের ২০ শ্রমিকের মধ্যে চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনও নিখোঁজ আছেন আরও ১৮ জন শ্রমিক।
গজারিয়া লঞ্চঘাট এলাকার কাছে এক যুবক (৩০) ও দুপুর পৌনে ১২টায় চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা নদীতে আরেকজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসান সাদী জানান,রোববার সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল।
সাতদিনেও সন্ধান না পাওয়ায় গ্রামের বাড়ি পাবনায় ফিরে গেছেন নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা। যদি নিখোঁজ শ্রমিকদের কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয় বা নদীতে ভেসে ওঠে সেক্ষেত্রে স্বজনদের খবর দিয়ে আনা হবে।
গত মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলবের সীমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ট্রলারটিতে থাকা ৩৪ শ্রমিকের মধ্যে ১৪ জন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ ছিলেন অন্তত ২০ জন। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে মুন্সিগঞ্জ সদরের চরঝাপটা ও গজারিয়া উপজেলার কালিপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
করেসপন্ডেট
২১ জানুয়ারি,২০১৯