নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে ৮০-৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় নববধূসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মনপুরা যাওয়ার পথে কেয়ারিংচরে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। তবে নিখোঁজের সঠিক কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া টাংকির বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নলেরচর শান্তির ঘাট থেকে ৮০-৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার মনপুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে কেরিংচর এলাকায় ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলার থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড। এর মধ্যে নববধূসহ চারজন নারী ও দুই শিশু।
উদ্ধারকাজে সাহায্যকারী স্থানীয় রফিক ও পুলিশের কনস্টেবল সোহাগ জানান, ট্রলারে থাকা অন্তত ৩০ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। অন্যদের উদ্ধারে পুলিশসহ স্থানীয়রা কাজ করছে। ট্রলারের যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করতে সমস্যা হচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত নববধূসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস ও মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল হালিম জানান, তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তবে নিহত নববধূর নাম তাসলিমা বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীরা বিভিন্ন ঘাট দিয়ে কূলে উঠছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কতজন যাত্রী নিখোঁজ তা জানা যায়নি।
বার্তা কক্ষ,১৫ ডিসেম্বর ২০২০