মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর অংশে ভরা মৌসুমের বিপরীত সময়ে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইলিশ মাছের আড়তগুলো উৎসব মুখর ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়।
প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়লেও স্থানীয় মানুষজন ইলিশ মাছ কিনতে পারছে না। সাধারণ ক্রেতার বাইরে ইলিশ জেলেদের পরিবারের সদস্যরাও ইলিশ খেতে পারছেন না। মূল্য বেশি পাওয়ায় নিজের পরিবারের জন্যও বাড়িতে ইলিশ নিয়ে যান না জেলেরা।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ আর অনুসন্ধানে দুটি কারণ জানা গেছে।
একটি হচ্ছে স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বাজারে ইলিশের উচ্চ মূল্য, দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্যাকেটজাত করে নদী ও স্থলপথে পাচার।
ক’দিন ঘুরে দেখা যায়, দাদনদার ও ব্যবসায়ীদের হাত হয়ে ইলিশ মাছ চলে যাচ্ছে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাইমচরবাসীর জন্য “কাউ তলে কাউ মাঙ্গা’’ প্রবাদটি বাস্তব হয়ে ধরা দেয়ায় হাইমচরের সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ ক্রয় করতে পারছেন না।
মেঘনার পাড়ে আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায় উপজেলার কাটাখালি হতে চরভৈরবী কাটাখালী, মেঘনার মধ্যচর, ঈশানবালা বাজারসহ বিভিন্ন আড়তে ভোর হতে রাত পর্যন্ত জেলেরা তাদের আহরণকৃত মাছ নিয়ে আসে।
ইলিশ জেলে ও ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে মুখর হয়ে পড়ে আড়তগুলো। মৎস্য ব্যবসায়ীরা মাছ ক্রয় করে বরফ দিয়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্চেন। হাইমচরের সুস্বাধু ইলিশ পাশ্ববর্তী জেলায় চলে যাওয়ার স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার একে এম জহিরুল ইসলাম জানান, ‘এ বছরে মা ইলিশ ও জাটকা বিরোধী অভিযানের সফলতার কারণে মেঘনায় প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। বর্তমানে যার সুফল পাচ্ছে জেলেরা।’
ইলিশ জেলেদের একজন সোবহান রাড়ী জানান, ‘মধ্য শ্রাবণ হতে মেঘনায় আমাদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ পাচ্ছি । মাছ নিয়ে আড়তে যাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের মাছ ক্রয় করে ব্যবসায়ীরা বরফ দিয়ে বিভিন্ন যায়গায় পাঠিয়ে দেয়। মাছের দাম বেশি হওয়ায় অনেক সময় আমরা নিজেরা খাওয়ার জন্য মাছ বাড়িতে নিচ্ছি না।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ