চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে গভীর রাতে এম ভি টিপু (১২) এবং এম ভি আওলাদ (৪) নামের দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে কম পক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আহত পাঁচ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টায় চাঁদপুরের আলুর বাজার ও চাঁদপুর শরীয়তপুর মধ্যস্থলে মেঘনা নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে রাতেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও নৌ-পুলিশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন। এরা হলেন, বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিকিম আলীর ছেলে তারেকুল ইসলাম, ইন্দুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ফজল, আন্দার মানিক গ্রামের আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে মামুন রাঢ়ী, চরকিল্লা গ্রামের আব্দুল আজিজ মাঝীর ছেলে আবু তাহের, বড় জমিয়া ওসমান মঞ্জিল গ্রামের সাত্তার বেপারীর ছেলে রাসেল, আব্দুস সালামের ছেলে মহিউদ্দিন।
এদের মধ্যে ফজলকে শুক্রবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় অন্তত আরো ১৫/২০ জন কমবেশি আহত হয়েছে বলে অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে।
আহত মামুন রাঢ়ী ও রণি নামে এক যাত্রী সহ একাধিক যাত্রীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা বরিশাল থেকে এম ভি আওলাদ লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। আওলাদ লঞ্চটি চাঁদপুর মেঘনা নদীর আলুর বাজার নামকস্থানে আসলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশাল গামী এম ভি টিপু (১২) লঞ্চটি আওলাদ লঞ্চের সামনে পড়ে।
তারা জানান, যখন দুই লঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান তখন আওলাদ লঞ্চের সারেং সেটি সরিয়ে নিতে লাইট দিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মাইকিং করেও সেটি সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু টিপু লঞ্চটি কোন ভাবেই যেনো তা শুনেননি। কিছুক্ষনের মধ্যেই টিপু লঞ্চটি আওলাদ লঞ্চের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেয়। এতে ঘুমন্ত এবং লঞ্চে অবস্থান করা যাত্রীরা দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে এবং লোহার সাথে আঘাত খেয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। এতে ধারনা করা হচ্ছে টিপু লঞ্চের সারেং হয়তোবা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। নয়তো নেশাগ্রস্ত ছিলো।
চাঁদপুর নৌ-থানার ইনচার্জ (উপরিদর্শক) মোঃ ফরহাদ রাব্বী ইশান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীতে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে আওলাদ লঞ্চের ৪ জন যাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ সদস্য এবং চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
কবির হোসেন মিজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur