ইলিশ শূন্য চাঁদপুর মাছঘাট

বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। এ বছর ভরপুর মৌসুমে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের ব্যাপক বেচাকেনা করেছে ব্যবসায়ীরা। এ বছরের ইলিশের মৌসুম শেষ করে চাঁদপুর মাছঘাট ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই ১ অক্টোবর চাঁদপুর মাছঘাট ছিল মাছ শূন্য। মাছঘাটের আড়ত গুলোতে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত চাঁদপুরের ষাটনল হতে দক্ষিণে হাজিমারা ও পশ্চিমে পদ্মার অংশসহ ১শ’২০ কি.মি নৌ-সীমানার চাঁদপুর জেলায় ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনেরর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধম্যেই এ বছরেও মা ইলিশ রক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, মৎস্যজীবি সমিতি, সাংবাদিক সমাজ ও স্থানীয় জনগনের সমন্বয়ে এ বছর মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে চাঁদপুরে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে আরো কয়েকগুন।

চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে বহু বছর পূর্বে বড়স্টেশন মাছঘাট গড়ে উঠেছে। এই এলাকাটি ইলিশ বাণিজ্য কেন্দ্র নামে সমাদৃত। জেলেরা প্রতিদিন পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরে এ মাছ ঘাটে বিক্রির জন্যে নিয়ে আসে । এই মাছঘাট থেকে ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় এমনকি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। চাঁদপুর মাছঘাট থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, টাঙ্গাইল, ঈশ্বরদি, পাবনা, দিনাজপুর, বগুড়া, যশোর, বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ভারতেও ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয় ।

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর মাছঘাট এখন এতোটাই জমজমাট যা বলা বাহুল্য কিন্তু গত কয়েক বছর ইলিশের জাঁকজমক মাছের বাজার হারিয়ে গেলোও তা নতুন করে ফিরে পেয়েছে চাঁদপুর মাছঘাট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতীতে কয়েক বছর আমারা ইলিশ শূন্যতাই ভুগেছি। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আমরা হারানো ইলিশ আবার ফিরে পেয়েছি। জাটকা নিধন ও মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে গত ২ বছরে চাঁদপুরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুন। এ বছরেও জেলা প্রশাসনের মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচী মেনে আমরা ২১ দিন ঘাটে মাছ বিক্রি বন্ধ রাখবো।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ৫:২৩ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share