Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মেঘনায় ইলিশ ধরা না পড়ায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি
ইলিশ
ফাইল ছবি

মেঘনায় ইলিশ ধরা না পড়ায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে তেমন হারে মিলছে না ইলিশ। বাজারে ইলিশ কম থাকায় দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। মেঘনায় পানির চাপ কম থাকায় জেলেদের জালে প্রত্যাশিত ইলিশ ধরা না পড়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গতকাল মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর, এনায়েতনগর, আমিরাবাদ, সুজাতপুর ও গজরা বাজার এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, বরদিয়া আড়ং, মুন্সিরহাট ও নারায়ণপুর মাছবাজারে দেখা যায়, অল্প কিছু ইলিশ নিয়ে বিক্রেতারা বসে আছেন। বেশির ভাগই ছোট ও মাঝারি আকারের। কিছু কিছু ক্রেতা ছোট আকারের ইলিশ কেনেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর বাজারের মাছ বিক্রেতা ধূপদাস ও মো. রিয়েল জানান, অন্যান্য বছর এই সময় বাজারে মোটামুটি ভালো পরিমাণের ইলিশ আসত। প্রতিটি বাজারে প্রতিদিন গড়ে দুই-আড়াই মণ ইলিশ বিক্রি হতো। এবার চিত্র ভিন্ন। এখন প্রতিদিন গড়ে প্রতিটি বাজারে ২০-২৫ কেজি ইলিশও উঠছে না। বেশি দামের কারণে বিক্রিও হচ্ছে না তেমন।

মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ বাজারের মাছ বিক্রেতা প্রিয়লাল দাস বলেন, ১৪-১৫ দিন ধরে বাজারে ইলিশের আমদানি খুব কম। এখন এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়, ৮০০-৯০০ গ্রাম প্রতি কেজি ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে ‘টেম্পু ইলিশ’ নামে পরিচিত ছোট আকারের প্রতি কেজি ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর গত দুই বছরের এই সময়ের তুলনায় দেড় থেকে দুই গুণ বেশি।

গতকাল সকাল ইলিশ কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবকলস এলাকার চা-বিক্রেতা মো. রিপন মিয়া। দাম বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি আর ইলিশ কিনতেই পারেননি।

মেঘনায় পানির চাপ কম থাকায় কয়েক দিন ধরে প্রত্যাশিত হারে ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন। তাঁরা জানান, আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে নদীতে। তখন দামও কম থাকবে।