দেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে অগ্রসর হলেও এখনো দেশের মধ্যাঞ্চল বন্যাকবলিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উন্নতি হয়েছে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি।
৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, সার্বিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে এখনো ১৪ নদীর পানি দেশের ২০টি অঞ্চলের বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ নদ-নদীগুলোর অন্যতম নদ ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। তবে যমুনার পানি সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ ও আরিচায়, সিংড়ায় গুড় নদীর পানি, বাঘাবাড়িতে আত্রায়ের পানি, এলাসিনে ধলেশ্বরীর পানি, ডেমরায় বালু নদীর পানি, নারায়ণগঞ্জে লাক্ষ্যার পানি, মিরপুরে তুরাগ নদীর পানি, টঙ্গীতে টঙ্গী খালের পানি, তারাঘাটে কালিগঙ্গার পানি, জাগিরে ধলেশ্বরীর পানি, নায়েরহাটে বংশী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পদ্মার পানি ভাগ্যকুল, মাওয়া ও সুরেশ্বরে, মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁর পানি, ব্রাহ্মবাড়িয়ায় তিতাসের পানি এবং চাঁদপুরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এক পূর্বাভাসে পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি আরো কমছে। কমছে যমুনার পানিও। এই নদ-নদীর পানি আগামী শনিবার পর্যন্ত কমার প্রবণায় থাকবে।
পদ্মার পানিও শুক্রবার পর্যন্ত কমবে। মনু নদী ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানি কমবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। এছাড়া রাজধানীর আশপাশের নদী-খালের পানিও কমতে শুরু করবে।
অন্যদিকে শুক্রবারের মধ্যে উন্নতি হবে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদুপর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি।
জুনের শেষ থেকে হওয়ার এবারর বন্যায় প্রায় ৪০ লাখের মতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২৫টি জেলার নিম্নাঞ্চল।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৭ আগস্ট ২০২০