চাঁদপুরে হাইমচরের ঈশানবালায় মেঘনার ভয়াল নদীভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি কিছুটা কমে ইতোমধ্যেই এ ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙ্গন রক্ষার কাজ মাঝপথে এসে থেমে রয়েছে।
এলাকাবাসী ঈশানবালাকে রক্ষায় বর্তমান চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সর্দারের নেতৃত্বে ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীর সার্বিক সহযোগিতায় এলাকাবাসীকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও গণমাধ্যমের প্রচারণায় ভাঙ্গন পরিস্থিতি তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে।
বিষয়টি সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপুমনির হস্তক্ষেপে পানি বোর্ডের সহায়তায় ৮৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায় পেশ করে ।
তড়িৎগতিতে প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে প্রকল্পের কাজও শুরু করে এবং জিও ব্যাগ সহ বালুর বস্তা প্রস্তুত করেও মাঝপথে এসে কাজ থেমে যায় । ফলে ভাঙ্গনের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ইতোমধ্যেই ঈশানবালা বাজারের ৭০% ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। প্রায় ৫০-৬০টি টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্রূততার সাথে সরাতে হয়েছে। বাজারে উত্তরের রাস্তা, বাগানবাড়ি, অনেক ফল-ফলাদির গাছ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে।
বাহেরচর তদন্ত কেন্দ্র, ঈশানবালা জামে মসজিদ, চরকোড়ালিয়া প্রাথমিক ও ঈশানবালা এমজেএস উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েক শ’ বাড়িঘর এখন ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।
ঈশানবালার বাসিন্দা ও আ ’লীগ নেতা খোকন সর্দার বলেন, ‘ঠিকাদারের অবহেলার কারণে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় নি।’
বর্তমান চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সর্দার মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) জানান, ‘ঠিকাদার কাজটি নিজে না করে অন্য একটি সাব ঠিকাদার দিয়ে কাজ শুরু করলেও ভাঙ্গনের তোপের ফলে সকল বালুর বস্তা দেবে যায়। ফলে ভাঙ্গন পরিস্থিতি আগের মতই থেকে যায়।’
তিনি আরো জানান, ‘ঈশানবালার বাজারের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। প্রায় দু’শতাধিক পরিবার এখন বাড়িঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এলাকায় নদীভাঙ্গনের আতংকে দিন যাপন করছে।
তিনি অনতিবিলম্বে ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশ্সানের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সময় টেলিভিশনের সৌজন্যে ভিডিওটি দেখুন….