মেঘনার ভাঙনরোধে কাজ করছে সেনাবাহিনী

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :

জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনার ভাঙনরোধে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে জনমনে।
জেলার রামগতিতে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণ করছে। অস্বাভাবিক জোয়ার, তীব্র ঢেউ ও নানা প্রতিকূলতায় বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষায় প্রাণন্তকর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। দিন-রাত ৫০ থেকে ৬০ জন সেনা উত্তাল মেঘনার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন।

চলছি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙনরোধে কাজ শুরু হয়। প্রথমদিকে আলেকজান্ডার বাজার সংলগ্ন ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। পরে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ৩.৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নেয় সেনাবাহিনী। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে মাত্র পাঁচ মাসে করা হয় এক বছরের কাজ। ৬ লাখ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয় নদীতে। দেওয়া হয় ব্লক। এভাবেই তৈরি হয় ভাঙনরোধের বাঁধ।

স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনী নদীভাঙনরোধে কাজ না করলে চলতি বর্ষা মৌসুমেই আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক, রামগতি উপজেলা কমপ্লেক্স, হাসপাতাল, আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা ও আলেকজান্ডার বাজারসহ অনেক প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে যেত। রামগতি পৌর এলাকার রাসেল পাটোয়ারী জানান,ভাঙন থেকে মাত্র দেড়শ’ গজ দূরে ছিল তার বসতভিটা। বাঁধ দেওয়ায় তাদের শেষসম্বল রক্ষা পেয়েছে।

আলেকজান্ডার বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাহার খন্দকার জানান,ভাঙনরোধে সেনাবাহিনী কাজ না করলে ঐতিহ্যবাহী আলেকজান্ডার বাজার এখন নদীগর্ভে থাকত।ভাঙন ঠেকাতে পারায় বর্তমানে ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে ব্যবসা করছেন।

রামগতি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন হেলাল বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সততা, আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রমেভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি।’

সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানভীর হোসেন পিএসসি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা ও সার্বিক সহায়তায় সেনাবাহিনী দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলছে। এসডব্লিউও’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ওহাবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অত্র ইউনিটের সবস্তরের সৈনিক গত পাঁচ মাসে ৩.৫ কিলোমিটার বাঁধের ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে।’

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,ভাঙনরোধে ৩৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বরাদ্দ অর্থে ৫.৫ কিলোমিটার বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের বরাদ্দ পেতে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বরাদ্দ আসলে জনগণের দাবি মতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ করা হবে।’

Share