বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন,‘মেঘনার অবৈধভাবে বালু উত্তলনের কারণে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তলন বন্ধ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরকে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেন।’
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদি জমাদার বাড়ি এলাকায় বিশাল উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘সকল অশুভ শক্তিকে নির্মূল করে দেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রই নয়। একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রও। আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বর কারণে। তিনি সততা, নিষ্ঠা, মেধা এবং শ্রম দিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি ব্যাক্তিগতভাবেও অনেক সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্বের বুকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সততার প্রতীক। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় সমগ্র পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখেন। ’৯৬ সনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো এমপি না থাকার পরেও জননেত্রী শেখ হাসিনার চাঁদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। নদী ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর রক্ষায় তখন থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। এরপরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্থায়ীভাবে আর কাজ হয়নি। এজন্য নদী ভাঙ্গ প্রতিরোধে আমি নিজেও চাঁদপুর এবং ঢাকার রাজপথে আন্দোলন করেছি। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার আবারও প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পরে চাঁদপুরবাসী নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে।’
সুজিত রায় নন্দী আরো বলেন, ‘এ গ্রামে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। আমি কথা দিচ্ছি সহসাই এখানে একটি স্কুল করে দিবো।এ স্কুল করতে আমাদের মন্ত্রী-এমপি হতে হবে না। পাশাপাশি এই এলাকার রাস্তাগুলো সংস্কার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আমি আলোচনা করবো।’
আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায় সফিকুর রহমান জমাদারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউনুছ জমাদারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়র আ. রব ভূঁইয়া, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব এসএম জয়নাল আবেদীন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ পাটওয়ারী, জাতীয় হকার্স লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান মনা, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রোশন আলী বেপারী ।
আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান বরকনদাজ, হারুন মাস্টার, যুগলীগ নেতা রাসেল খান, মাইনুদ্দিন খান,জাহাঙ্গীর মিয়াজী,স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শরীফ আহমেদ, জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিমির নাহা,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির গাজী, সদর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান পরান, চাঁদপুর পৌরসভার যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাঞ্চন লস্কার, প্রচার সম্পাদক রমজান মিজি, তাঁতী লীগের সভাপতি আল-আমিন বেপারীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উঠান বৈঠকের সার্বিক তত্ত্ববধায়নে ছিলেন সফিক জমাদার, উত্তম মজুমদার ও ফারুক জমাদার।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:১০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮,শনিবার
এজি