চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর মেঘনার পাড়ে চলছে প্রকাশ্যে মা ইলিশ ধরা ও বেচা কিনা। পুলিশের সামনেই নদীর তীরে নৌকা ভিড়লেও তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে । ওই সময় সেখানে ইলিশ ক্রয় করার জন্য মানুষের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। কিছুক্ষণ পর পরই লালপুর ঘাটে ভিড়ছে মা ইলিশ ধরা জেলেদের নৌকা। আর সেখান থেকেই নিজেদের পছন্দমত মা ইলিশ ক্রয় করেছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, লালপুর ঘাটে জেলে ও নৌকা ভিড়ে আছে। এসময় চাঁদপুর মডেল থানার এস আই সঞ্জয়, কনস্টেবল মহিন ও রাসেল বালুধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য নির্বাচনের ডিউটি থেকে একটি সিএনজি স্কুটারে করে সেখান গিয়ে ফেরত চলে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিযানে যে নদীতে জেলেদের নৌকা ভিড়িয়ে মা ইলিশ মাছ বেচা বিক্রি হচ্ছে, সে বিষয়ে তাদেরকে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অভিযান চলকালীন সময়ে লালপুর ঘাটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মা ইলিশ ধরে বেচা বিক্রি হয়ে থাকে। আর তাদের নিরবে চলে যাওয়াটা এমনটাই প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিবছর অভিযানের সময় এই এলাকায় চলে জমজমাট ইলিশ ধরা ও বেচা কেনা। চাঁদপুরের অন্যান্য এলাকায় অভিযানের সময় জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও অভিযোগ রয়েছে এখানকার জেলেরা নৌ- পুলিশের সাথে মিলকরে প্রকাশ্যে ইলিশ ধরা ও বেচা কেনা চালিয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়,জেলেরা নৌ- পুলিশের সাথে সমন্বয় করে নদীতে নামে
বিষয়টি স্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান শামিম খান নিজেও। তিনি বলেন,নৌ- পুলিশের সদস্য রেদওয়ানের সাথে সমন্বয় করে জেলেরা নদীতে নামে। এখানকার জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমিও সদর উপজেলায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পানি বেশি থাকায় আমরা খালের মুখগুলি বন্ধ করতে পারছি না। তবে অভিযানে তেমন কোন ভূমিকা না রাখার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে চাঁদপুর সদর নৌ- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। আমাদের টিম প্রতিদিনই নদীতে যাচ্ছে। তবে নৌ-পুলিশের সদস্য রেদওয়ানের বিষয়ে তিনি বলেন আমার এরকম কিছু জানা নেই। যদি কেউ লিখত অভিযোগ করে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৩ অক্টোবর ২০২২