মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলায় তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের ১৫টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এলাকার ২০ হাজার মানুষ।
পানিতে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী লোকজন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের চাপে পানি বেড়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরের পর থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমাটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনার তীর ঘেঁষা রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর, কন্দকপুর, গনেশপুর, দাইয়া ও পশ্চিম কন্দকপুর, ধনিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাকীর্তি, বলরাম সূরা, দরিরাম শংকর, কালাসুরা তজুমদ্দিনের সোনাপুর ইউনিয়নের চর জহির উদ্দিন, মনপুরা উপজেলার সোনাপুর, দাসেরহাট, কলাতলীর চর, ঘোষেরহাট, কুলাগাজীর তালুক চরফ্যাশন উপজেলার চরপাতিলা ও লালমোহন উপজেলার কচুয়াখালীর চর তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।
রাজাপুরের ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় ইউনিয়নের ৫ গ্রাম ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, পূর্ণমার প্রভাবে পানি বেড়েছে। ভাটায় আবার নেমে যায় এই পানি। বাঁধের বাইরের কিছু গ্রাম প্লাবিত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ অবস্থা আরও ৩/৪ দিন থাকবে।
বার্তা কক্ষ,১৩ জুলাই ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur