স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চাঁদপুর জেলার তিন নদী মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চাঁদপুর নদী বন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৯ আগস্ট) মেঘনার পানি সর্বশেষ জোয়ারে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সর্বোচ্চ পানির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৪.৩৪ সেন্টিমিটার।
আগের দিন শুক্রবার পানির পরিমাণ ছিলো ৪.১৬ সেন্টিমিটার এবং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট ৪.০০ সেন্টিমিটার।
গত তিনদিন ধরেই চাঁদপুরের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পানি বৃদ্ধির ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন বীজতলা, শাক-সবজির জমি তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গিয়ে বাড়ির উঠান এমনকি চাঁদপুর শহরের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
শহরের নিচু এলাকার মানুষজনকে পানি ভেঙ্গে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এদিকে জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি নৌ-রূটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। শরিয়তপুর ঘাটের র্যাম ডুবে যাওয়ায় ভাটার জন্যে অপেক্ষা ছাড়া ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা করতে পারছে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ইমরান খান জানান, “র্যামের পরিধি হাই ওয়াটার লেভেলে যে পরিমাণ থাকার কথা শরিয়তপুর ঘাটে তা নেই। এ কারণে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটের র্যামটি জোয়ারের সময় নিমজ্জিত থাকছে। এ সমস্যার কারণে ফেরি চলাচলের ট্রিপ কমে গেছে এবং দুপাড়ে আটকা পড়ছে অনেক গাড়ি।”
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/2015।