চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৫নং হাইমচর ইউনিয়নে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মেঘনার নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ৩৫ নং মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চরে বসবাসরত প্রায় ৩শত বসতঘর ও ২টি মাছের আড়ত নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
হাইমচরের সর্বনাশা মেঘনার বর্ষার শুরু না হতেই প্রকট ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটামাটি হারোনার ভয়ে আতংকের মাঝে বসবাস করছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনের কবলে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ভ’মি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
ভাঙ্গনস্থলে গিয়ে দেখাযায় ৫নং হাইমচর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের একমাত্র বিদ্যাপীঠ ৩৫নং মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি কয়েক মিনিটের মধ্যে নদী গর্ভে চলে যায়। এ ছাড়াও ওই দিন হাবিব গাজী ও সৈয়দ চকিদারের মাছের আড়তসহ বেশ কয়েকটি দোকান মেঘনার ভাঙ্গন কবলে পদিত হয়।
এ ব্যাপারে ৫নং হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত সরকার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন ‘হাইমচর ইউনিয়ন বর্তমানে মেঘনা ভাঙ্গনে আতংকে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে শত শত পরিবার ভিটামাটি হারা হয়ে পড়েছে, অনেকেরই বসতঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি নদী ভাঙ্গন কবলে পড়লে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহি অফিসারকে অবহিত করলে তাদের নির্দেশ মতে কিছু মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও চোখের পলকে বিদ্যালয়টি নদীতে মিশে গেছে।’
যে সকল পরিবার মেঘনায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করার আহবান জানান তিনি।