চাঁদপুরে মেঘনার পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এ জেলার চাঁদপুর সদর,হাইমচর,মতলব চরাঞ্চলসহ নদীতীরবর্তী শহরের নিচু এলাকা এবং বহু গ্রামেরর রাস্তাঘাট,ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তবে জোয়ারে পানি বাড়লেও ভাটার সময় সেই পানি আবার নেমেও যাচ্ছে।
মেঘনা নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাঁদপুর হরিনা ও শরিয়তপুর আলুবাজার ফেরিঘাটের র্যাম ও রাস্তা ডুবে গেছে। এতে ওই ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন ফেরিতে উঠা নামায় সমস্যা হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা।
সরজমিনে সোমবার হরিনাঘাটে দেখা যায়, হাঁটু পরিমান পানি ডিঙ্গিয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যে গাড়িগুলোকে ফেরিতে উঠানামা করতে হচ্ছে ঝুকির মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে যানবাহন বিকল হয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দিওয়ার পরিস্থিতি বিরাজমান অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিটিএ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখা দরকার বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানিয়েছে।
জোয়ারের সময় প্রায় তিনঘন্টা ফেরিঘাট সংযুক্ত পন্টুন র্যামের অর্ধেকসহ রাস্তাা জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। বিআইডব্লিটিসির ঘাট কাউন্টারে থাকা রাসেল জানিয়েছে।
অপরদিকে, বিআইডব্লিটিটিসি চাঁদপুর হরিণাঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুন নূর তুষার জানান, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেলে এ ধরনের কিছু সময়ের জন্য সমস্যা দেখা দেয় প্রতিনিয়ত। তবে সবসময় জন্য নয়। তিনি বলেন, এখনো ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি রয়েছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে তাদের সাতটি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, আজ সন্ধ্যার জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫২ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মঙ্গলবার মেঘনায় জোয়ারের পানি সর্বোচ্চ ৪.৫২ সে. মি. ও ভাটায় সর্বনিম্ন ৩.৩১ সে.মি. রেকর্ড করা হয়। এতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur