মৃত্যুর থেকে অনিবার্য সত্য আর কিছুই হয় না। এই দার্শনিক তত্ত্বকে মনে রেখেও আমরা মৃ্ত্যুকে ঘিরে কেউ রচনা করি রোম্যান্স, কেউ বা মৃত্যুকে একটা ভয়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেন। আর এসবের ঊর্ধ্বে উঠলে কেমন একটা বিভ্রান্ত চোখে তাকান মৃত্যুর প্রসঙ্গে উঠলে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে মৃত্যু সম্পর্কে এমন কিছু নির্যস সত্যের সন্ধান দেওয়া হল, যার অনেকটাই আমাদের দৈনন্দিনের ধারণার বাইরে।
১। প্রতিদিনই ‘একটু’ করে মরে যাচ্ছি আমরা সবাই! ভাবছেন এটি কি করে সম্ভব? প্রতিদিন দেহে প্রায় ৫০
বিলিয়ন কোষের মৃত্যু হয়।
২। পৃথিবীতে হৃদরোগেই বেশিরভাগ মানুষ মারা যান।
৩। কমবয়সি পুরুষদের অধিকাংশই মারা যান দুর্ঘটনায়।
৪। অল্পবয়সি মহিলাদের অধিকাংশই মারা যান সন্তান প্রসব করতে গিয়ে।
৫। প্রতি বছর প্রতি ১০০০ জনে ৮ জন মারা যান।
৬। প্রতি সেকেন্ডে যতজন শিশু জন্ম নেয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
৭। মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে দেহের পেশিগুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সংকোচন ঘটে। দেহ শক্ত হতে আরম্ভ করে। একে ‘রিগর মর্টিস’ বলে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা পরে রিগর মর্টিস উধাও হতে শুরু করে।
৮। মৃত্যুর পরে অগ্ন্যাশয় ও পাচনতন্ত্রের অন্যান্য অংশ হজমের সহায়ক এনজাইমে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে ওই অঙ্গগুলিই ‘হজম’ হয়ে যেতে শুরু করে। তার পরে পুরো দেহতেই এই প্রক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর নাম ‘অটোলাইসিস’।
৯। মৃত্যুর পরে নখের বৃদ্ধি ঘটে না।
১০। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মৃতদেহে লেগে থাকা পোকার চরিত্র দেখে মোটামুটিভাবে বলতে পারেন মৃত্যু ঠিক কতক্ষণ
বা কত দিন আগে হয়েছে।
বার্তা কক্ষ