সারাদেশ

মৃত্যুতে শেষ হলো প্রেমের অধ্যায়!

বিয়ের মাধ্যমে প্রেমে সফলতা এসেছিল তসলিমা আক্তারের। কিন্তু সংসার জীবনটা তার প্রেমময় হয়ে ওঠেনি। ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে হাতের মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই মৃত্যু দিয়ে শেষ হলো তার প্রেমের অধ্যায়।

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে মঙ্গলবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে মরদেহ মিলেছে তসলিমা আক্তারের (১৮)। তিনি হ্নীলা জাদিমোরাস্থ নয়াপাড়ার জালাল আহমদের মেয়ে। তাকে খুন করা হয়েছে দাবি করে মামলা করেছেন তার বাবা।

এ ঘটনায় তসলিমার স্বামী নুরুল বশরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার নুরুল বশর হোয়াইক্যং খারাইগ্যাঘোনার আলী আকবরের ছেলে। মামলার পর শ্বশুর-শাশুড়িসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তসলিমা বিয়ের আগে মামার বাড়িতে দাওয়াত উপলক্ষে বেড়াতে গিয়ে নুরুল বশরের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

পরে ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেতে নুরুল বশর মা-বাবার অমতে তসলিমাকে বিয়ে করে। এ কারণে মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যরা তসলিমাকে মেনে নেয়নি। ফলে সংসারে প্রায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন সকালে নুরুল বশর ও তার বাবা আলী আকবরের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওদিন রাতে নুরুল বশর নাফনদী সংলগ্ন প্রজেক্টে মাছ শিকারে যায়।

২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে স্ত্রীকে অসুস্থ দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। এ ঘটনার পরপরই শ্বশুর আলী আকবরসহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন। হাসপাতালে ডাক্তাররা নুরুল বশরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

এরপর ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত তসলিমার বাবা বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলা করলে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, গ্রেফতার নুরুল বশর স্ত্রী হত্যার বিষয়ে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(জাগো নিউজ)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ২০ এ.এম ২৮ ফেব্রুয়ারি২০১৮বুধবার।
এএস.

Share