১৯৬৯ সালের এ দিনে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষাবিদ,সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী মুহাম্মদ আবদুল হাই।
তাঁর জন্ম ১৯১৯ সালের ২৬ নভেম্বর মুর্শিদাবাদে। তার বাবা আব্দুল গণি ও মা ময়মুন্নেসা খাতুন। ১৯৩৬ সালে তিনি রাজশাহী হাই মাদ্রাসা থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৩৮ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাস করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪১ সালে তিনি বাংলায় বিএ অনার্স এবং ১৯৪২ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিনিই ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রথম মুসলমান ছাত্র। ১৯৪২ সালে তিনি বাংলার লেকচারার পদে বেঙ্গল জুনিয়র এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দেন।
১৯৪৩ সালে তিনি কৃষ্ণনগর কলেজ এবং ১৯৪৭ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য যান এবং ১৯৫২ সালে ডিস্টিংশনসহ এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
অভিসন্দর্ভটি ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালে বিভাগে ফিরে এসে প্রথমে তিনি যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বাংলা বিভাগকে পুনর্গঠিত করেন। তার আগ্রহে সৈয়দ আলী আহসান,মুনীর চৌধুরী,মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী,আহমদ শরীফ, আনিসুজ্জামান,আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ কীর্তিমান শিক্ষক বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।
১৯৫৪ সালে তিনি বাংলা বিভাগের রিডার ও অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে যখন তিনি অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভ করেন,বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অঙ্গনে ছিল এক দুঃসময়। গবেষণার ক্ষেত্র প্রশস্ত ও প্রসারের লক্ষ্যে তিনি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন,যা খ্যাতি লাভ করে।
সংগ্রহে : আবদুল গনি, ৩ জুন ২০২১