মুসলিম পুরুষদের ৪টি বিয়ে বৈধ কেন? হিন্দু নারীর প্রশ্নের জবাব

‎Sunday, ‎July ‎12, ‎2015

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:

ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যা মানুষের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান জানিয়ে দিতে প্রস্তুত। অজানা কারণে হোক কিংবা অন্য যো কোনো কারণে হোক আমরা তা জানার চেষ্টা করি না। বরং না জেনে অনেক সময় বিতর্কে জড়িয়ে যাই কিংবা বিতর্কিত কোনো মন্তব্য শুনে কিছুটা হলেও বিশ্বাসের দানা অন্তরে বাঁধি।

এখান থেকেই ক্রমান্বয়ে ইসলামে হুকুম-আহকামের প্রতি অবিশ্বাস ও অবাস্তব বলে মনে ধারণা চলে আসে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় শয়তান থাকে।

এর মধ্যে একটি আলোচিত প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কেন পুরুষকে ৪টি পর্যন্ত (একত্রে স্ত্রী রাখার বিধান) বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে?

এ ক্ষেত্রে অনেক গুলো অস্পষ্ট বিষয়ের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি যথাক্রমে:
ইসলাম আসলে পুরুষদের অসংখ্য বিয়ের সুযোগ রহিত করে দিয়েছে। ইসলাম বিবাহ বিমুখ সমাজে এসে লোকদেরকে পাইকারী হারে চারটি করে বিয়ের নির্দেশ দেয় নি, (যেমনটি নাস্তিকরা সাধারণ লোকদেরকে বুঝিয়ে থাকেন) বরং নারীদের যথেচ্ছ ব্যবহারে উন্মুখ সমাজে পুরুষদের শতাধিক বিয়ের ক্ষমতাকে রহিত করে দিয়ে তাকে সর্বোচ্চ চারটির মধ্যে স্থির করে দিয়েছে। ইসলাম পূর্ব আরব সমাজে নারীদেরকে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হতো। এক একজন ব্যক্তির স্ত্রীদের কোন সীমা রেখা ছিলো না। অনেকের স্ত্রীদের সংখ্যা ছিলো ১০০ (একশত) এরও বেশি। ১০/১৫ টি তো সাধারণ বিষয় ছিলো।

লাগাম ছাড়া এমন শতাধিক ও সহস্রাধিক বিবাহ বা নারী সম্ভোগ হিন্দু ধর্মের দেবতাদের মধ্যেও দেখা যায়। শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃতান্তে বলা হয়েছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১৬,১০৮ জন রাজকুমারীর সাথে যৌনক্রিয়া করেছিলেন। মহাভারতের স্বর্গারোহণ পর্বে বলা আছে, কৃষ্ণের পিতা-বাসুদেব ১৬,০০০ নারীকে বিয়ে করেছিলেন। কৃতিবাসী রামায়ন, আদিকান্ডের ৬৪৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ভগবান রাম পিতা মহারাজ দশরথের ৭৫০ বহুবিবাহ করেছিলেন। একই বইয়ের ৬৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ঋৃষিরাজ কশ্যাপ বিয়ে করেছিলেন ২৭ টি। ( ভিডিওর জন্য : Click This Link)
বর্তমানেও পাশ্চাত্য সভ্যতা বিবাহের পরিবর্তে যিনা-ব্যভিচারকে উন্মুক্ত করে দেয়ার ফলে আজ সেখানে এক একজন পুরুষ তার জীবনে কত হাজার মহিলার সাথে যে যৌন ক্রিয়া করে, তা সে নিজেও বলতে পারবে না। নারীরা অনেক সময় তাদের সন্তানদের পিতাকেও চিহ্নিত করতে পারেন না। যার কারণে সেখানে সন্তানের পরিচয় মায়ের পরিচয় দিয়ে দেয়াই উত্তম। পাশ্চাত্যের যৌন স্বাধীনতার সংস্কৃতি তাদের পছন্দ তাদের সবাইও সেই একই নীতিতে হাজার হাজার নারীর সাথে মিলিত হন। আমাদের দেশেও এমন হাজার হাজার পুরুষ পাওয়া যাবে, যারা বিবাহ করতে ভয় পান কিংবা একটি বিয়ে করেছেন তবে রাত কাটান হাজার জনের সাথে।
নারীদের জন্য বিভীষিকাময় এমনি এক চরম মুহূর্তে ইসলাম এসে বিকৃত রুচির পুরুষদের শতাধিক বিয়ের খায়েশকে সর্বোচ্চ ৪ টির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। ইসলাম গ্রহণের পর অনেক সাহাবীই রাসূলের নির্দেশে ৪ টি স্ত্রী রেখে বাকিদেরকে তালাক দিয়ে দেন। এভাবে ইসলাম চারটির অধিক স্ত্রী রাখা চিরকালের জন্য হারাম সাব্যস্ত করে।
-এখন আপনি আপনার বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করুন, ইসলাম শতাধিক বিয়েকে অনধিক চারটির মধ্যে স্থির করে দিয়ে মানবিক কাজ করেছে না অমানবিক কাজ করেছে?

তা দেখুন ভিডিওতে

চাঁদপুর টাইমস : ডিএইচ/২০১৫।

চাঁদপুর টাইমস প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Share