ভারতজুড়ে এখন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বই প্রকাশে সহায়তকারীর মুখে কালি ছিটানো, গোমাংস নিষিদ্ধকরণ, উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমাংস রান্নার অপরাধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, মুজফফরনগরে এক যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তক্ত করা- এতোসব ঘটনার মধ্যে মধ্যপ্রদেশেরই মন্দসৌর জেলার এক কলোনিতে ঘটলো ব্যতিক্রমী ঘটনা।
ওই কলোনির বাসিন্দা সুঘরা বাঈ (৪৫) পেশায় দিনমজুর। বছর তিনেক আগে তার বাড়ির পাশে মাটির নিচে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার পান। কলোনির সবাইকে খবর দেন ওই মুসলিম নারী। তারপর ঠিক করেন, এই জায়গাতেই একটি দুর্গামন্দির গড়া হবে।
গ্রামের সবার থেকে দুই রুপি করে চাঁদা তোলেন সুঘরা বাঈ। সেই অর্থে তৈরি হয় মন্দির। তারপর নিজে মূর্তি স্থাপন করেন সুঘরা বাঈ। শুরু হয় পুজা।
এরপর থেকেই নিয়ম করে প্রত্যেক বছর নবরাত্রিতে চলে আরতি। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যোগ দেয় সেই উত্সবে। এবার দুর্গা পূজাতেও ব্যত্যয় ঘটছে না।
গ্রামে সুঘরা বাঈকে সবাই আপা বলে ডাকে। মন্দসৌরের বাসিন্দা ভেরু লালের কথায়, ‘মন্দিরের অবস্থা খারাপ ছিল। আপাই সবাইকে জড়ো করে মন্দিরটি সংস্কারে উদ্যোগী হন।’
আরেক বাসিন্দা বাবু আমজাদের বলেন, ‘আমাদের কলোনির পরিবেশ খুব ভালো। শান্তিতে থাকি। সবাই সবাইকে ভালোবাসি। আমরা মহরমেও ওই মন্দিরে পুজো দিই।’
ভিডিওটি দেখুন…
চাঁদপুর টা্মিস নিউজ ডেস্ক: ।। আপডেট ১২:৫৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫ বুধবার
ডিএইচ