যুক্তরাষ্ট্রের আহমেদ নামে এক মুসলিম স্কুল ছাত্রের তৈরি ঘড়িকে বোমা ভাবা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রায় একই ধরনের ঘটনার জন্ম দিয়েছেন দেশটির জর্জিয়ার একটি স্কুলের শিক্ষক। স্কুলটির ১৩ বছর বয়সী এক মুসলিম শিক্ষার্থীর ব্যাগে বোমা আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই শিক্ষার্থীর বাবা আবদিরিজাক আদেন বার্তা সংস্থা আটলান্টা জার্নালকে জানান, জর্জিয়ার শিলোহ মিডল স্কুলের অষ্টম গ্রেডে পড়ে তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে। সে হিজাব পরে স্কুলে যায়। গত ৭ ডিসেম্বর তার এক শিক্ষক মেয়েটিকে ডেকে জানতে চান, সে ব্যাগে বোমা বহন করছে কি না?
এই ঘটনায় প্রচণ্ড মন খারাপ হয়ে যায় ওই ছাত্রীর। প্রশ্নটিকে ভীষণ অপমানজনক বলে মনে হয় তার কাছে। বিষয়টি জানতে পেরে আদেন তাঁর মেয়ের স্কুলে যান। তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ মর্মাহত। আমরা আফ্রিকা থেকে এসেছি। আমরা মুসলিম এবং আমেরিকায় বাস করি। আমি কখনো আমার সন্তানদের মানুষকে ঘৃণা কিংবা তারা অন্যদের চেয়ে ভালো মানুষ এটা ভাবতে শেখাইনি।’
তবে পুরো বিষয়টির জন্য ওই কিশোরী ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন স্কুলটির অধ্যক্ষ। স্কুলটির মুখপাত্র স্লোয়ান রোশ জানান, মন্তব্যটি সঠিক ছিল না। তবে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থেকে এই মন্তব্য করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। কোনো কারণে ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ব্যাগ রেখে আসতে বলার সময় এই মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক।
এদিকে পুরো ঘটনাটিতে আমেরিকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামভীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে কিছুটা বোঝা গেছে বলে মনে করছেন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনের জর্জিয়া চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ বুরকে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে নিজের তৈরি একটি ঘড়ি শিক্ষককে দেখানোর জন্য স্কুলে নিয়ে যায় টেক্সাসের ১৪ বছর বয়সী ছাত্র আহমেদ মোহাম্মেদ। তবে সেটিকে বোমা বলে সন্দেহ করেন তার শিক্ষকরা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যায় আহমেদকে। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ১১:৪৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur