মাত্র এক সিরিজ স্থায়ী হল তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের তিন অধিনায়কের যুগ। রোববার মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে টাইগারদের টেস্ট ক্যাপ্টেনের বাহুবন্ধনী তুলে দেয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানের হাতে।
নতুন নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বোর্ড মিটিং শেষে নাজমুল হাসান পাপন সাকিবকে টেস্ট অধিনায়ক করার ঘোষণা দেন। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টেস্ট সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
‘আমরা টেস্ট অধিনায়ক পরিবর্তন করছি। সাকিব আল হাসান আগামী সিরিজ থেকে টেস্ট অধিনায়ক। সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অন্য ফরম্যাটে আগের মতই থাকবে।’ নতুন বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই সাকিবের হাতে সাদা পোশাকের দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা এভাবেই জানান বোর্ড সভাপতি।
সাকিব টি-টুয়েন্টির নেতৃত্বে ফিরেছেন গত সাউথ আফ্রিকা সিরিজ দিয়েই। আর ওয়ানডেতে দায়িত্বটা পাল করে যাচ্ছেন মাশরাফী।
টেস্টে তামিম ইকবাল ছিলেন সহ-অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহকে সেই দায়িত্বটা দিয়ে তামিমকে টি-টুয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে।
ফিসফাসটা ছিলই। মুশফিকের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি আতশকাচের পর্যবেক্ষণে। সেটাকে গুঞ্জনে রূপ দেয়ার রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন মুশফিকই। টেস্টে তার অধিনায়কত্বের দুর্বলতা শেষ অবধি আর রাখঢাক পর্যায়ে ছিল না। রোববার সাবেকই হয়ে গেলেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মুশফিক। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট জয়; শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের শততম টেস্টে জয়সহ অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত এসেছে তার হাত ধরে। তবে সবশেষ ৯ টেস্টের ৭টিতেই হেরে প্রশ্নবিদ্ধও ছিল মুশফিকের অধিনায়কত্ব।
সাকিব আগের দফায় ৯ টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবার দায়িত্ব পান তিনি। সেদফায় ৮ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। পরে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মোট নয় টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের (২০০৯ সালে) বিপক্ষে একটিতে জয় এনে দিতে পেরেছিলেন সাকিব। বাকিগুলোয় হার দেখেছে তার দল।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:১৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এএস