আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :
কারাগার ভেঙ্গে গণহারে কয়েদিদের পালাতে সাহায্য করার মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কারাভঙ্গের ওই ঘটনা ঘটেছিল। মিসরের একটি আদালত শনিবার মুরসির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের এই আদেশ দিয়েছেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য আপিল করার সুযোগ পাবেন মুরসি। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
মুরসির সমর্থকরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রয়াস নিয়েই তাদের নেতার বিরুদ্ধে এমন রায় দেওয়া হয়েছে। মুরসি নিজেও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। মিসরের যে কোনো রায় কার্যকর করার আগে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড মুফতির কাছে পাঠাতে হয়। এমনকি তিনি রায় বহাল রাখলেও আপিল করতে পারবেন মুরসি।
গত মাসে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন মিসরের একটি আদালত। ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগে মুরসিকে ওই সাজা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে কঠিন বিক্ষোভের মুখে পদচ্যুত হন মোহাম্মদ মুরসি।
মুরসির পতনের পর তার রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মিসর কর্তৃপক্ষ এবং তার পর থেকে হাজারো মুরসি-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবেই ক্ষমতায় আসীন হয়েছিলেন মোহাম্মদ মুরসি। তবে ক্ষমতালাভের এক বছরের মাথায় তিনি নিজেকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাময় করে একটি ডিক্রি জারি করেন। আর এরই জেরে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামে বিরোধীরা, যার ফল মসনদ থেকে পতন।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫