Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে দফায় দফায় বাড়ছে মুরগির দাম
মুরগির

মতলবে দফায় দফায় বাড়ছে মুরগির দাম

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সস্তায় প্রোটিন পেতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম। গত কয়েক দিনে প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ৩ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডিম ও মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও এর সুফল পাচ্ছেন না তৃণমূল পর্যায়ের খামারিরা। মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

উপজেলার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। আর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। এ হিসাবে মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে। আর আগস্টের শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা কেজি দরে।

ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও দফায় দফায় বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।

খামারি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা পোলট্রি খামার করে বছরের পর বছর লোকসান গুনছি। অথচ দাম যখন বাড়ছে, তখন এর সুফল ঘরে তুলতে পারছি না। পাঁচ বছরে খামার বন্ধ হয়েছে অর্ধলক্ষাধিক। এদিকে দিন দিন দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।’

মতলব বাজারের ব্যবসায়ী মো. গাজী বলেন, মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে খামারে সব ধরনের মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। করোনাকালীন এমনিতেই অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এরপরও যেসব খামারি পুনরায় কাজ শুরু করতে চাইছেন তাঁদের জন্য মুরগির খাদ্যের দাম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর কয়েক দফায় খাদ্যের দাম বাড়ায় অনেকে খামারে মুরগি উৎপাদন করছেন না। এতে খুচরা ও পাইকারি বাজারে দেখা দিয়েছে মুরগির সংকট।