চাঁদপুরে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বাড়লো ফার্মের মুরগি। চড়া দামে বাজার হওয়ায় সাধারণ মানুষ ফয়লার মাংস থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে অসাধু খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মত দাম হাকিয়ে নিচ্ছে, আর পাইকারি বাজারের ফার্মের মালিকরা বলছে বছরে দুই বার ঈদ কে উপলক্ষে করে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করি, তবে খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তাহা আমাদের বিষয় না।
সোমবার চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার , নতুন বাজার এর পালবাজার, নতুনবাজার, বিপণী বাগ,ওয়ারলেছ বাবুরহাট গুলি গুরে দেখা যায়, বয়লার মুরগীর কেজি ২৬০ টাকা আর, লেয়ার মুরগী ৩৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা আর ককের কেজিও ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে দোকানীরা, তবে উল্লেখ যোগ্য বাজারগুলির সাথে সকল দোকানির কোন মিল নেই, কেউ কেউ আবার নিজেদের মত দাম হাঁকাচ্ছে।
উল্লেখ যোগ্য বাজার দর থেকে আরো ১০ টাকা বারিয়ে বিক্রি করছে, দোকানির সাথে ক্রেতাদের সাথে বাগতিক্ততায় লিপ্ত হতে দেখা যায়, তার পরেও নিরুপায় হয়ে মানুষ অতিরিক্ত দামে মুরগি কিনছে।
ভোক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের গরুর মাংস কিনার সামর্থ্য নেই বলে ফার্মের মুরগি কিনে সন্তানদের মুখে দিবে অথচ ফার্মের মুরগিও ক্রয় ক্ষমতার নাগালে চলে যাচ্ছে।
এদিকে দোকানিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন খামারিরা দাম বাড়িয়েছে বলে তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। অজুহাতের শেষ নেই, আশেপাশের ইউনিয়ন গুলির খামার থেকে মুরগি আমদানি করে দোকানিরা বিক্রি করে সেখানে আমদানি খরচ কম পেলেও অসাধু দোকানিরা বলেন আমদানিতেও খরচ বেশি, ঈদের খুশি আজ দোকানিদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ইসু বলে মনে করেন সচেতন মহল।
অপর দিকে ভোক্তাগনরা বলেন আমরা নিত্যপণ্য জিনিসের কাছে জিন্মি, বাচঁতে হলে খেতে হবে, ফার্মের মুরগির প্রতি স্বস্তি ছিলো, অথচ এখন তা অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা এবারের ঈদে মুরগি কিনেও সন্তানদের খাওয়াতে পারবো না, গেলো সপ্তাহে ১৮০-১৯০ টাকা দরে বয়লার মুরগি বিক্রি করছে , আর সোনালী ছিলো ২৮০ টাকা লেয়ার ছিলো ২৯০ টাকা কক ছিলো একই দামে, অথচ ঈদ কে সামনে রেখে মুরগির ব্যবসায়িরাও পকেট কাটতে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, তাই ভোক্তারা মনে করেন বাজার মনিটরিং না থাকায় মুরগির ব্যবসায়িরা অতিরিক্ত দাম হাক্কাচ্ছে, তাই এখনি বাজার মনিটরিং দরকার তা না হলে ফার্মের মুরগির দাম সাধারণ মানুষের নাগালে চলে যাবে।বাজার মনিটরিং করে ফার্মের মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, তা না হলে এই সিন্ডিকেটদের লাগাম টেনে ধরার কেউ থাকবে না, ফলে তাদের কাছে জিন্মি হয়ে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ৯ এপ্রিল ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur