চাঁদপুর জেলায় ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ১,৬১৭ টি। মুজিবর্ষ উপলক্ষ্য এসব পরিবারের মধ্য থেকে ৪শ’৩৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্নবাসন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১১৫টি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৫টিসহ মােট ১৬০টি পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে।
আগামি ২০ জুন ২য় পর্যায়ে ১০৯টি পরিবারকে পূর্নবাসন করা হবে।
১৮ জুন শুক্রবার সকালে সাড়ে ১০টায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (২য় পর্যায়) উদ্বোধন উপলক্ষে চাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
তিনি সভায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমো জানানো হয়,আগামি ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন ২য় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩শত ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ে ৬৬,১৮৯ জনকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় ‘ক’ শ্রেণির গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ১৬১৭ টি। চাঁদপুর জেলায় ১ম পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১১৫টি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৫টি মােট ১৬০টি পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে।
২য় পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ২০ জুন এর মধ্যে ৯৩টি এবং পরবর্তীতে ১৬টি মােট ১০৯টি পরিবারকে এবং ৩২৫টি পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বমােট ৪৩৪ টি পরিবারকে পূর্নবাসন করা হচ্ছে।।
এ সকল পরিবারকে এক টাকা সালামীতে দু’শতক জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। কবুলিয়ত, রেজিস্ট্রেশন, নামজারী ও জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন,সনদপত্র প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক ডিসি আর এর ১ হাজার ১শ’৫০ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিটি একক গৃহের আয়তন ৩৯৫ বর্গফুট। দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা গৃহে একটি টয়লেট,একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে। চাঁদপুর জেলায় ১ম পর্যায়ে গুচ্ছগ্রাম হতে ৮৫টি আশ্রয়ন হতে ২০টি ও দুর্যোগ হতে ৩০টি অর্থাৎ মােট ১৩৫টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং এগুলাে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২য় পর্যায়ে দুর্যোগ হতে ১০৯টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাটি ভরাট করার জন্য এ জেলায় ২য় পর্যায়ে মােট ১০০.০০ মে:টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হয় ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান,খাস জমি উদ্ধার করে এ জেলায় পূর্নবাসন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুর্নবাসনের জন্য সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পূনর্বাসনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দকে জায়গা নির্বাচন, মাটি ভরাটসহ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের বেতনের টাকায় চাঁদপুর জেলায় ২টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংস্থা,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর জেলায় ১১৮টি ঘর করবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ০২টিসহ মােট ২৫টি ঘর ইতােমধ্যে নির্মিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, চাঁদপুর জেলায় নিষ্কন্টক কৃষি খাস জমি অপ্রতুল হলেও জেলার ৪জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ২টি করে ৮টি উপজেলায় নিষ্কন্টক খাস জমি খুঁজে বের করাসহ এ সংক্রান্ত সকল কাজ মনিটর করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.দাউদ হোসেন,চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ।
বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী,সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা,সাকেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, গোলাম কিবরিয়া জীবন, শরীফ চৌধুরী, বিএম হান্নান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী , রিযাদ ফেরদেীস ও তালহা জুবায়ের প্রমুখ।
আশিক বিন রহিম , ১৮ জুন ২০২১
এজি