বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষের সমাপনি অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা।
এর মধ্যে আগামি ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে দু’অনুষ্ঠানেরই পরিসর কেমন হবে তা নির্ভর করছে করোনাভাইরাস মহামারীর পরিস্থিতির ওপর।
এ ছাড়া মুজিববর্ষে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে এর আগে সম্মতি দেয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো,মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, ভারতের কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ানের সফরও সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপি নানা আয়োজনে যোগ দিতে বিশ্বনেতারা সম্মতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপি জেঁকে বসা মহামারী সবকিছু পাল্টে দেয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আয়োজনগুলোও সংক্ষিপ্ত করা হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামি মার্চে মুজিববর্ষের সমাপনী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান আয়োজনে আসার আগ্রহ জানাচ্ছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ।
এর মধ্যে গত ১৭ মার্চ ঢাকায় মুজিববর্ষের সূচনার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সে সফর পিছিয়ে বিজয় দিবসে আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা ছিল ঢাকা-দিল্লিতে। কিন্তু কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ ডিসেম্বরেও জনসমাগমে বাধা হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতি আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকার প্রধানকে।
সূত্র জানায়, এ অনুষ্ঠানে আরও থাকতে পারেন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়া ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
আগামি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সফর আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা চলছে। আগামি নভেম্বরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর ঢাকা সফরে ভিভিআইপি সফরের দিনক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
অবশ্য এমনিতেই ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে তার ঢাকা সফরের সূচি ছিল এ বছরই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বারবার পিছিয়েও বিশ্বনেতাদের সশরীরে উপস্থিতিতে আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না ডি-৮ সম্মেলনের। শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়ালি আয়োজিত হতে যাচ্ছে ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলন।
বার্তা কক্ষ , ২৩ অক্টোবর ২০২০
এজি