একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রায়ের অনুলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
এরআগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের অনুলিপি নিয়ে কারাগারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তারা।
বিকেলের পরে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারকদের সইয়ের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার কিছু আগে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায় ওই রায়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রায়ের এই অনুলিপি পৌঁছে দেয়া হলো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
রায়ের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও পৌঁছে দেয়া হবে।
গতকাল সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ফাঁসির দণ্ড থেকে বাঁচতে এ দুজনের কাছে এখন খোলা একটিই মাত্র পথ- তা হলো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা। সাকা-মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তারা যদি ক্ষমা না পান তবে আইন অনুযায়ী সরকার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউয়ের আদেশ বা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি খুব শিগগিরই প্রকাশ পাবে।
তিনি বলেন, ‘আরেক মামলার আসামি কাদের মোল্লার রিভিউয়ের রায়ে উল্লেখ করা আছে- যখন মৃত্যু পারোয়ানা কারাগারে যাবে রাষ্ট্র তখন থেকেই তারিখ নির্ধারণ করে রায় কার্যকরের উদ্যোগ নিতে পারবে এবং রায় কার্যকর করতে পারবে। যেহেতু সাকা-মুজাহিদের রিভিউ খারিজ হয়েছে, স্থগিতাদেশ আর নেই, সেহেতু রায় কার্যকর করতেও কোনো বাধা নেই।’
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৯:১০ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
এমআরআর