১২ রবিউল আওয়াল সোমবার মক্কার কোরাইশ বংশের বনি হাশেমী গোত্রে মা আমিনার কোলজুড়ে এক শিশুর জন্ম হয়। সালটি ছিল ঈসায়ী ৫৭০। জন্মের আগেই পিতা আব্দুল্লাহ গতায়ু হয়েছেন। একমাত্র সন্তান রেখে বিবি আমিনাও কিছুদিন পর ইহলোক ত্যাগ করেন। আরব অভিজাতদের প্রথামত শিশুটি বড় হতে থাকেন দুধমা বিবি হালিমার গৃহে।
সেখান থেকে ফিরে এসে দাদা আব্দুল মোত্তালিবের স্নেহে বেড়ে ওঠেন। দাদার মৃত্যুর পর চাচা আবু তালেবের স্নেহ মমতায় বড় হতে থাকেন। দুনিয়ার মুখ দেখার আগে যিনি ছিলেন পিতৃহারা, আর দুনিয়ায় আসার কিছু দিনের মধ্যেই হলেন মাতৃহারা। এমন একটি মানুষই বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)।
শুধু ইসলাম ধর্মের আবরণে নয়, সমস্ত মানবের সামগ্রিক মুক্তি ও কল্যাণের জন্যে যে পথ নির্দেশনা তিনি রেখে গেছেন আজও সে আদর্শকে কেউ বাতিল করতে পারে নি। আর সে কারণে যুগে যুগে দলে দলে মানুষ তাঁর আদর্শের পতাকাতলে শামিল হচ্ছেন।
এই মতবাদের মূলমন্ত্র হিসেবে ছিল, সাদা-কালো-পীত, আরব-অনারব, জাতি, বর্ণ-গোত্রের ভেদাভেদহীনতা। সবাই মানুষ। সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। সবার অধিকার সমান। সবার উপাস্য নিরাকার এক মাবুদ।
যত দিন মানুষের ভেতর ভেদাভেদ থাকবে, থাকবে শোষণ-বঞ্চনা, ন্যায়-অন্যায়ের বিরোধ থাকবে জুলুম ও লোভের হাতছানি ততদিন ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা থাকবে সমানভাবে।
এসব মোহ থেকে মুক্তি ঘটলে মিলবে আত্মার মুক্তি। তখনই মানবাত্মার মুক্তি ও স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের পথ সুগম হবে।
তাই সেই বাণীবাহক এবং আল্লাহর রসূল বিশ্ব নবীর জন্ম দিন ১২ রবিউল আওয়াল বা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সব কালে, সব যুগে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
|| আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
এমআরআর