চাঁদপুর

আদালতের নির্দেশের পরেও চাঁদপুরে ১৭ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ

সব ধরনের কাগজপত্র, প্রমাণাদি ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও চাঁদপুরে ১৭ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানিভাতা বন্ধ।

দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর যাবত বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরে ন্যাপ, কমিউনিস্টপার্টি, ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ১৭ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানিভাতা।

ফলে এই ভাতার উপর নির্ভরশীল বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অনেকটা অসহায় জীবনযাপন করছেন।

চাঁদপুরের ন্যাপ কমিউনিস্টপার্টি ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর সদস্য নিরোধ বরণ অধিকারী, মরহুম আনোয়ার হোসেন আরিফ, বিনয় ভুষণ মজুমদার, ব্রজবল্লব দাস, মৃত মতিন ঢালী, মোকলেছুর রহমান মিজি, মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, বাসুদেব মজুমদার, শহীদুল্লা খান, শেখ আব্দুল হাই, মো. শহীদ উল্লাহ মাল, আমিনুল হক পাটওয়ারী, মরহুম মো. আনোয়ার উল্যাহ খান, অজিত কুমার সাহা, মরহুম মাও. আ. লতিফ, সুশিতল চন্দ্র ভৌমিক ও প্রিয়তোষ কর্মকার।

তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তালিকাভুক্ত এবং নিয়মিত সম্মানি ভাতা পেয়ে আসছেন। হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এ সকল মুক্তিযোদ্ধার সম্মানিভাতা বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট আবেদনের পর গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি গেজেটভুক্ত এসকল মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বহাল রাখে এবং তাদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেয়। এমনকি সরকার কর্তৃক লিভ টু আপিলেও সুপ্রিমকোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

পরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় হতে এক পরিপত্রে এ সকল সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিদের্শ দেন।

এ ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নীতিমালা অনুযায়ী চাঁদপুরের এ সকল মুক্তিযোদ্ধার সম্মানিত ভাতা প্রদানে আইনগত কোন বাধা নেই বলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি মনে করে বলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।

তারপরও চাঁদপুরের ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানিভাতা প্রদান নিয়ে জটিলতার অবসান হয়নি।

চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ জানান, ‘জেলা প্রশাসকের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে যাচাই বাছাই কমিটির সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। ইতোমধ্যে সম্মানি ভাতা বঞ্চিত বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। এ সম্মানিত ভাতার উপর যেসব পরিবার নির্ভরশীল তারা অত্যন্ত কঠিন ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।’

প্রতিবেদক-কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ : ৩০ পিএম, ৯ মে ২০১৭, মঙ্গলবার
এইউ

Share