মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের তিন শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ ) দুপুরে চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতী এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আজকে এদিনটা আমাদের খুশির দিন। কারণ ১৯৭১ সালের এইদিনে আমরা পরাধীনতা থেকে মুক্ত বা স্বাধীন হওয়ার ডাক দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারাই হচ্ছে আমাদের রিয়েল হিরো। পৃথিবীর বুকে এ বাংলাদেশের পরিচয় তাঁরাই এনে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা সবচাইতে সম্মানিত ব্যক্তি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে সবসময়ই কিছু করার চেষ্টা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে আমার আরও কিছু করার আছে।আমার কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ এসেছেন তখন আমি গুরুত্ব দেই নি এমন ঘটনা নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়। কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, যতটুকু সামর্থ্য থাকবে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর, তা তারা করবে। একই সঙ্গে কর্মকর্তারা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে এবং দিচ্ছে। আপনাদের সম্মান করতে চাই এবং করে যাচ্ছি।’
জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যের প্রসঙ্গে বলেন, নিজেদের মধ্যে বিভক্তি করবেন না। কেউ কেউ ভুল করতে পারেন। ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে তা ক্ষমা করে দিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখবেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিএম হান্নানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান গাজী, সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, ব্যাংকার মো. মুজিবুর রহমান, ড. কাজী হাশেম প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠানে ৩৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিশেষ উপহার প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতিসহ অন্য অতিথিরা। এছাড়াও শুরুতে তাঁদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছাও প্রদান করা হয়।