Home / চাঁদপুর / ‘মুক্তিযোদ্ধাগণের মাসিক ভাতা’ ১২ হাজার টাকা হচ্ছে :চাঁদপুরে ৩৪১৭ জন

‘মুক্তিযোদ্ধাগণের মাসিক ভাতা’ ১২ হাজার টাকা হচ্ছে :চাঁদপুরে ৩৪১৭ জন

২০১৭-১৮অর্থবছর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় মুক্তিযোদ্ধাগণের মাসিক ভাতা ১২ হাজার টাকা হচ্ছে । এছাড়াও
বিধবা,স্বামী পরিত্যক্তা নারী, প্রতিবন্ধী,দলিত,ভিক্ষুকসহ সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগী ও সুবিধা
প্রাপ্তির হার উভয়ই বাড়বে। সে আলোকে দেশের সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাড়ানো সম্পর্কিত সুপারিশ আগেভাগেই বিবেচনায় আনা হয়েছেবলে জানা যায় ।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও বর্তমান বাজারে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি বিবেচনা করেই এবার মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে তার সুফল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের মধ্যে পৌঁছে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ দায়িত্ববোধ থেকেই রাষ্ট্র তাদের সম্মানী ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চাঁদপুরে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩ হাজার ৪শ’১৭ জন এবং প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় সম্মানী বাতা পাচ্ছেন। এ সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ।

জেলা সমাজসেবা অধিদ্প্তরেরসূত্রে মতে , সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চাঁদপুর সদরে ৩শ ১১জন,হাইমচরে ১শ ১৬ জন,হাজীগঞ্জে ৫শ ৬জন,শাহরাস্তিতে ৪শ ৪ জন,ফরিদগঞ্জে ৫শ ৯৮ জন ,মতলব উত্তরে ৬ শ ২৪ জন,মতলব দক্ষিণে ৫শ ১৩ জন ও কচুয়ায় ২ শ ২৮ জন পাচ্ছেন।

এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে বিআরডিবি কর্র্তৃক বিশেষ ঋণ ,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকুরিক্ষেত্রে ৩০ % কোটা নির্ধারণ ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণ, প্রতিবছর জাতীয় দিবসে সংবর্ধনা অসচ্ছলদের দাফন কাপন বাবৎ অর্থ প্রদান ইত্যাদি ।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়া,মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সস্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের কল্যাণে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা , অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নত আবাসন সুবিধা সৃষ্টির জন্যে সারাদেশে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে গণহত্যা-নির্যাতন,বধ্যভূমি,গণকবর চিহ্নিতকরণ, এ সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার তৈরি, প্রদর্শনী এবং প্রকাশনার লক্ষ্যে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এবারের বাজেটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বরাদ্দ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, গেজেট প্রকাশ ও ঘোষিত তালিকা হালনাগাদসহ সাময়িক সনদ প্রদান, যুদ্ধাহত, শহীদ, মৃত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা প্রদান, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে রেশন প্রদান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা,মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।’ (সূত্র: বাসস)

সম্পাদনায় : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:৫০ পিএম, ৩ জুন ২০১৭,শনিবার

Leave a Reply