সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,‘`নানা মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ছড়িয়ে দেয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে গণহত্যা জাদুঘর কাজ শুরু করেছিল, ভাস্কর্য প্রদর্শনী তেমন এক সৃজনশীল মাধ্যম। এর মাধ্যমে আগত পরিদর্শনকারীরা এক নতুন আবহে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাকে অনুভব করতে পারবেন। নানা মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
গতকাল বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট আয়োজিত সপ্তাহব্যাপি (২০-২৭ মে, ২০২২) গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড.মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সহ-সভাপতি বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের সম্পাদক ড.চৌধুরী শহীদ কাদের।
‘গণহত্যা ৭১: পঞ্চ-ভাস্করের যাত্রা’ শীর্ষক ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে যে পাঁচজন ভাস্করের ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে তারা হলেন-রেহানা ইয়াসমিন,ফারজানা ইসলাম মিলকি, রবিউল ইসলাম,মুক্তি ভৌমিক ও সিগমা হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ভাস্কর্য প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, ২০ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০:৩০ টা হতে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত,আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে গৌরবের পাঁচশত পর্ব উপলক্ষে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’সোনার তরী’আয়োজিত আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
২১ মে ২০২২
এজি