দুবাইতে কর্মরত পাকিস্তানিদের হাতে মো. রফিকুর ইসলাম রফিক (৫৬) নামে বাংলাদেশি খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৬ নম্বর আনাইতারা ইউনিয়নের আটিয়া মামুদপুর গ্রামে। পিতার নাম মো. সিদ্দিকুর রহমান। আজ শনিবার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জহুরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রফিকুল ইসলামের খালাতো ভাই ও আনাইতারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. সেকান্দার আলী জানান, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দুবাইতে একটি কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করতেন। মাঝে মধ্যে দেশে আসতেন পরিবারের দেখাশোনার জন্য। তার একপুত্র জহিরুল ইসলাম সৌদি আরবে কর্মরত। গত কয়েক দিন আগে ঐ কোম্পানীতে পাকিস্তানি বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে রফিকুল ইসলামের কথাকাটি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি শ্রমিকরা রফিকুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় বলে টেলিফোনে জানিয়েছিল। ঘটনার তিন চারদিন পর রফিকুল কোম্পানীতে কাজ করতে গেলে পাকিস্তানি ঐ শ্রমিকরা প্রতিশোধ হিসেবে রফিকুলকে নির্মম ভাবে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনা জানাজানি হলে দুবাইতে বিভিন্ন কোম্পানীতে কর্মরত বাংলাদেশীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে।
শুক্রবার দুবাই থেকে নাগরপুর উপজেলার মুকনা ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামের এক যুবক রফিকুলের বাড়িতে খুনের বিষয়টি টেলিফোনে জানায়। খবর শুনেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন রফিকুলের বৃদ্ধা মা সুফিয়া বেগম ও স্ত্রী জহুরা বেগম।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক এবং মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, লাশ আনার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ ও দুবাই দুতাবাস। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন থেকে রফিকুল ইসলামের পরিবারের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলে এই দ্ইু কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৬ নম্বর আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুবাইতে পাকিস্তানীদের হাতে খুন হওয়া রফিকুলের লাশ দেশে আনার জন্য তার পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বার্তা কক্ষ, ২৮ মার্চ ২০২০