১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে রোহিঙ্গাবিরোধী প্রচারণা চালানোর পর প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ায় ক্ষমা চাইলো মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা স্বীকার করেছে যে, ভুলভাবে দুটি ছবি ছাপানো হয়েছিল। খবর রয়টার্স
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ‘দ্য মিয়াওয়াদে ডেইলি’ সোমবার সেনাবাহিনীর পক্ষে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে ভুলভাবে দুটি প্রকাশ করায় ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
‘আমরা ভুলের জন্য পাঠক ও ছবি দুটির মালিকের কাছে বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার ডিপার্টমেন্ট ১১৭ পৃষ্ঠার একটি বইটি প্রকাশ করে। তারা ওই বইয়ে প্রকাশিত ছবিকে ‘ডকুমেন্টারি ফটো’ বলে উল্লেখ করেছে। অথচ এর মধ্যে বেশকিছু ছবি বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধকালীন ছবি।
বিষয়গুলো ধরা পড়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে। ওই বইয়ে ব্যবহৃত আটটি ঐতিহাসিক ছবি বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এগুলোর মধ্যে তিনটি ছবি ভুয়া। ছবিগুলো বিকৃত করা হয়েছে।
বইটিতে প্রকাশিত ছবিগুলো রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের বলে দাবি করা হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধকালীন ছবি এবং অপরটি তানজানিয়ার ছবি। তৃতীয় একটি ছবির বর্ণনায় দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রবেশ করছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তা দেখাচ্ছে যে তারা ওই এলাকা ত্যাগ করছে।
এছাড়া আরও একটি সাদাকালো ছবি প্রকাশিত হয়েছে যেখানে একটি ভাঙাচোরা নৌকায় অনেক মানুষকে দেখা যাচ্ছে। নৌকার এই ছবিটি উল্টো করে দেয়া হয়েছে। পানিপথে বাঙালিরা মিয়ানমারে প্রবেশ করছে বলে দাবি করা হলেও রয়টার্স বলছে, এটি ২০১৫ সালের ছবি। সে সময় রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অভিবাসীরা মিয়ানমার ছাড়ছে। নৌপথে হাজার হাজার মানুষ মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur