মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনায় নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে (এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’) আলোচনা সভা, প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ মার্চ বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার হলরুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসা গভনিং বডিস সভাপতি আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানে আজকের এই আয়োজনটি হচ্ছে এখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। অসহায় মানুষের রক্ত আর মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। ইতিহাস বড় কঠিন, ইতিহাস বড় নির্মম। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীনতা আনতে এক এক করে পদক্ষেপ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু এই দেশটাকে স্বাধীন করতে চাননি, তিনি চেয়েছেন একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে বাঙালিরা পরিচয় পাবে। ধর্মের নামে হানাহানি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি।
তিনি আরো বলেন, সকল ছাত্র ছাত্রীকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে একত্রিত করেছে। তিনি তার রক্ত দিয়েই প্রমান করেছেন তিনি কোনদিন বিশ্বাস ঘাতগতা করেননি। তিনি জীবন দিয়ে এই দেশটাকে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষটি আজ বিশ্বের কাছে শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের শেষ নেই।
স্বাধীনতা এত সহজে আসে নাই। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়ে আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। পাকিস্তানি পেত আত্মারা কেউ ছেড়ে দেয় নি। তারা বাঙালি জাতির উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। আজকে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা নেই। আমরাও একদিন থাকবো না। সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সস্পর্কে জানকে হবে। তোমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুফতি কেফায়েত উল্লাহ।
জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারী তথ্য অফিসার দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
উপস্থিত সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মান্নান, আরবি প্রভাষক আবু জাফর মো. মোজাম্মেল হক, প্রভাশক শেখ নাসিমা সুলতানা, সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন, মো. আলআমিন, শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হাবিবুল্লাহ, শিক্ষক আবুল কাসেম, আবু তাহেরসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,২৪ মার্চ ২০২১