সবসময় মাঝে সিঁথি করে চুল ছেড়ে রাখতেন বলে শাওনকে ‘মিশরীয় রাজকন্যা’ ডাকতেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে স্মৃতিচারণ করে এ কথা লিখেছেন হুমায়ূন পত্নী শাওন।
সম্প্রতি একটি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো মিশর গেছেন শাওন। সেখানে গিয়ে স্মৃতিকাতর হন এই অভিনেত্রী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মিশর ইংরেজিতে Egypt । উফ… দু’একটি দেশের এই যে দুইরকম নাম (ভারত যেমন, India) কেমন জানি লাগে! কিন্তু মিশরের প্রতি আগ্রহ কার না আছে! পিরামিড, স্ফিংস, ফারাও, মমি তুতেন খামুন, রেমেসিস ২, ক্লিওপেট্রা ও নেফারতিতি। এই নামগুলো কৈশোরেই মাথার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল।’
এই অভিনেত্রী আর লিছেছেন, “স্কুলের বইয়ের পাতায় নীল নদের তীরে মিশর সভ্যতা গড়ে ওঠার ইতিহাস পড়ে ‘নীল’ নদের নামটা হৃদয়ে গেঁথে বসল। ‘নীল নদের জল আসলেই কি নীল?’ এই প্রশ্নের উত্তর মনে মনে কতো খুঁজেছি!”
বহু আগে থেকে মিশরে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারেননি শাওন। সময় ও সুযোগের অভাব ছিল তার।
শিমর নিয়ে তিনি ফেসবুকে আরো লিখেছেন, “স্থাপত্যকলায় পড়ার সময় মিশরের প্রাচীন স্থাপনার রহস্যে অভিভূত হয়েছি। আর মনে মনে ভেবেছি, ‘একবার মিশর যেতেই হবে’।”
২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন বিয়ে করেন। এরপর বেশ সুখী দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তারা। ১৯ জুলাই ২০১২ সালে না ফেরার দেশে চলে যান প্রিয় লেখক। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে আছেন দুই পুত্র নিনিত ও নিশাতের মা শাওন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০০ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববারs
ডিএইচ