হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ দুই উপজেলার ব্যস্তময় সড়কে ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহন চলাচল। সীমাহীন দুর্ভোগে যাত্রী ও স্থানীয় পথচারীরা। সড়কটিতে গত এক বছর ধরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে কোন সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার চৌরাস্তায়, জিয়ানগর, রনি বিক্সফিল্ডের সামনে, বেলচোঁ বাজার, সেন্দ্রা কামার বাড়ীর সামনে, মনতলা বাজার ও সড়কের ফরিদগঞ্জ শেষ সীমানা ফকির বাজারে নব-নির্মিত ব্রিজের বাইপাশ রোড ঝঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে সড়কের কার্পেট উঠে বড় ছোট অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষার শুরু থেকে অতি বৃষ্টির ফলে এসব স্থানে দিন দিন গর্তের আকার বড় হয়ে পানিবন্ধী হয়ে যেনো মিনি পুকুর হয়েছে। আর এ সড়কে যান চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মাইক্রো, সিএনজি, অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেলের চাকা এসব গর্তে পড়ে আটকে যায়। অনেকেই নিয়ন্ত্র হারিয়ে সড়কের উপর পড়ে হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে যখমের মত একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন : হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ বাইপাস সড়কে পানি : যান চলাচলে সীমাহিন দুর্ভোগ
সড়কে চলাচলরত ড্রাইভার ও একাধিক যাত্রী দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, এ সড়কের বিশেষ করে ফকির বাজার ও মনতলা স্থানে আসলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ফকির বাজারের নব-নির্মিত ব্রিজের ঠিকাদার কিংবা সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
স্থানীয় ফকির বাজারের জাহাঙ্গীর বেপারী, ইউসুফ, মনতলা বাজারের হাসেম পাটোওয়ারী, সম্রাট পাটোওয়ারীসহ কয়েকজন জানান, হাজীগঞ্জ ফরিদগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানে সড়কটির বড় সমস্যা। এখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোন লোক গত প্রায় এক বছর ধরে সংস্কার করতে আসেনি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের হাজীগঞ্জ সার্কেলের প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান বলেন, ঠিকাদারকে বলা হবে যেন যেসব স্থানে সংস্কারের প্রয়োজন তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। আমাদের জনবল সংকট, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই সংস্কারের চেষ্টা করা হবে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ৩ নভেম্বর ২০২০