মা আমার জীবনের মুকুট, তাই সমাবর্তন হ্যাটটা মায়ের । আব্বা সারাজীবনই আগলে রেখেছেন সব আঘাত থেকে, তাই গাউনটা কৃষক বাবার ঘামেভেজা শরীরটাতেই বেশি মানায়। আর আমি বাকি জীবনটা এভাবে যেন মধুর এ ভার নিতে পারি। ‘ভাই’টাকে প্রচণ্ড মিস করছি। এই আমার সমাবর্তন।
এই টুকুই লিখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে সম্পন্ন করা ওয়ালই উল্লাহ। এরপরে তার ছবিটি ইতিবাচকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়গা করে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ত্ম সমার্তন হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার।
এর আগেই শিক্ষার্থীরা সমার্বতনের আনন্দময় সময়ে ভাসছেন। ওয়ালিউল্লাহও তেমনি মা-বাবা’কে বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে গাউন বাবার শরীরে ও টুপি মায়ের মাথায় দিয়ে রিকশায় চড়িয়ে চালাতে থাকেন।
এমন একটি ছবি তুলে তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে ছড়াতে ছবির ক্যাপশন পাল্টাতে থাকে।
একসময় ওয়ালি উল্লাহ’র বাবাকে অনেকে রিকশাওয়ালা হিসেবে অভিহিত করেন। অবশ্য তিনি পরবর্তী সময়ে আরেকটু পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ওয়ালি উল্লাহ লিখেছেন, আমি ‘কৃষক’ বাবার সন্তান। আব্বা সারাজীবন আমাদের জন্য কষ্ট করে গেছেন, এখনো করছেন। আব্বা পরিবারে, আমাদেরকে শুধু দিয়েই গেছেন, বিনিময়ে কিছুই দিতে পারিনি এখনো। উনার শরীর ও ভাল যাচ্ছেনা খুব একটা। তাই আমার সমাবর্তনে একান্ত ভালোলাগার, ভালোবাসার কিছু মুহূর্ত উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, একান্ত নিজের ভালোলাগা থেকেই ছবি তুলেছি যা অনেকের ভালো লেগেছে, সে আমার পরম পাওয়া, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সবার প্রতি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় একটু ভুল তথ্য দেখলাম, যা সবাইকে অবগত করার প্রয়োজন বোধ করলাম।
ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা রিকশাঁচালক নন, উনি গ্রামের একজন কৃষক। অনাকাঙ্ক্ষিত এই তথ্য কিভাবে ছড়াল সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’ (কালের কন্ঠ)
এ সংক্রান্ত পূর্বের প্রতিবেদন:
বার্তা কক্ষ
অকে্টাবর ০৫,২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur